‘তাবলীগের আগুনে কেরোসিন ঢেলেছেন মামুনুল হক’
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০২
মামুনুল হক তাবলীগের আগুনে পানির বদলে কেরোসিন ঢেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাদপন্থী আলেমরা। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আলেমরা বলেন, ‘তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত নিরসনের বদলে মাওলানা মামুনুল হক তা উসকে দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা একপক্ষীয় আচরণ করছেন।’
‘দেশব্যাপী তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের ওপর জুলুম, নির্যাতন, হামলা-মামলা, শীর্ষ মুরব্বিদের ওপর মামলার’ প্রতিবাদে এবং কারাবন্দী মুফতি মুআজ বিন নূরের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তাবলীগ জামাতের নিজামুদ্দিন অনুসারী শফিক বিন নাঈম।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের সাধারণ সাথি এবং উলামায়ে কেরামের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শফিক বিন নাঈম বলেন, ‘সাংবাদিকরা তাবলীগের মুরব্বিকে প্রশ্ন করেছে, তিনি কিছু বললেন না, কিন্তু মামুনুল হক সাহেব উত্তর দিলেন। মামুনুল হক সাহেব তো তাবলিগের কেউ না। উনি আগুনের মধ্যে পানি না ঢেলে কেরোসিন ঢেলেছেন। উনি তো মুসলমানদের মধ্যে একজন যোগ্য লোক, ইসলামের জন্য ওনার পরিবার অনেক কিছু করেছেন। তিনি এর সমাধান করলেন না কেন?’
তিনি বলেন, ‘মূল মারকাজ থেকে আলাদা হয়ে দুই-একজন লোক আরেকটা মাদ্রাসা তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমাদের ভারতপন্থী বলা হয়, তাহলে যুবায়েরপন্থীরা তো ডাবল ভারতপন্থী। আমাদের ইতিহাসে কোনো দিন রাস্তায় নামিনি, কিন্তু তারা সমাবেশ-ভাঙচুর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে খবর ছিল, যুবায়েরপন্থীরা অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১৮ তারিখের মিটিংটা কেন এক দিন আগে করলেন না? ২০১৬ সাল থেকে আমাদের ১০ জন সাথি নিহত হয়েছে। হাজার হাজার সাথি আহত হয়েছে। আমাদের নিজামুদ্দিন অনুসারীদের ঘরে ঘরে হামলা হচ্ছে। দোকানপাটে লুট হচ্ছে।’
সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুআজ বিন নূরের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘তাবলীগ করার কারণে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমন নজির নেই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তো শুধু যুবায়েরপন্থীদের না। উনি সবার অভিভাবক। উনি কীভাবে একটা পক্ষ নেয়? ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব সম্মানিত লোক। তিনি দুপক্ষ নিয়ে বসলে এই সংকটের সমাধান হবে আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘যারা তাবলীগের কাজকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে, তারা চাচ্ছে বাংলাদেশে তাবলীগ বন্ধ হয়ে যাক। বাংলাদেশের উলামাদের ব্যাপারে একটা খারাপ ম্যাসেজ বহির্বিশ্বে যাচ্ছে।’
ডিআর/এমজে