বিডিআরে চাকরিচ্যুতদের ৭ দাবি
বৃহস্পতিবার শাহবাগ ব্লকেড
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫৭
আগামীকাল থেকেই শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার সামনে এ হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
এর আগে বিকেলে সাত দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যায় নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। যদিও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি তাদের। এরপরই শাহবাগ থানার সামনে এসে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
তারা বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আদালতে এ নিয়ে একটি রায় হওয়ার কথা রয়েছে। যদি সে রায়ে ন্যায়বিচারের ইঙ্গিত না মেলে, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ ব্লকেড করা হবে।’ এরপর তারা সড়কের যানযটের কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে চলে যান।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে গেল কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে যাচ্ছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা করেন এবং তার সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিতে যান।
শাহবাগে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহিন সরকারের ডাকে সারাদেশ থেকে ভুক্তভোগী বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এখানে যুক্ত হয়েছেন। তারা চান, এ ঘটনায় যেসব বিডিআর সদস্য এখনো কারাগারে আটক আছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে যাদের বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে যাদের, তাদেরও চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
বুধবার দুপুরের আগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হতে থাকেন তারা। পরে সহস্রাধিক লোক মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। পরে তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।
যাওয়ার আগে মাহিন সরকার বলেন, ‘আপনারা যারা এখানে এসেছেন, সবাই শান্ত হন। আমরা একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে আমাদের দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করব। আমরা ফিরে আসা পর্যন্ত এখানেই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। আর আমরা ফিরে আসার পর যা সিদ্ধান্ত দেব, আশা করছি আপনারা তা বাস্তবায়ন করবেন।’
এনএমএম/এমজে