এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
![Icon](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/settings/ezgif-7-c58f72a6c2icon-2-1730277221.png)
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৫
![এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/news_photos/2025/01/12/BK-misbah---2025-01-12T185334-6783bbc362366.jpg)
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তাররা হলেন, আসিফুল হক আসিফ ওরফে ঝন্টু ও কাউসার মৃধা।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বাংলাদেশের খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে ই.সি.এস কম্পিউটার সিটির ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। ওই সময়ে এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার সমিতির সভাপতি ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল হাসান দিপুও হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় এহতেশামুল হককে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওয়াহিদুল হাসান দিপুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সময়ে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে দলবদ্ধ হয়ে এসে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নিকট চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে হয়রানি করত।
এহতেশামুল হক ও ওয়াহিদুল হাসান মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে চাঁদাবাজদের রোষানলে পড়েন। এরই প্রেক্ষিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
তালেবুর রহমান বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর নিউমার্কেট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় জগন্নাথ সাহা রোড থেকে কাউসার মৃধাকে ও হাজারীবাগ গার্লস স্কুলের কাছে একটি মেসে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় আসিফুল হক আসিফ ওরফে ঝন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঝন্টু মামলার ৩ নম্বর আসামি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’