
ছবি : বাংলাদেশের খবর
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক দিনের ব্যবধানে একই স্থানে দুই প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার কুয়েতপ্রবাসী নাইমুল ইসলাম এবং শনিবার মালয়েশিয়া প্রবাসী বেলাল হোসেনের সর্বস্ব লুট করে ডাকাতরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতরা একই কায়দায় দুই প্রবাসীর মালামাল লুট করে পিকআপ ভ্যানে করে পালিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তদন্ত চলছে।
শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার ভোরে চৌদ্দগ্রাম থানার ৫০০ গজ দূরে মহাসড়কের ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় বেলাল হোসেনের গাড়িতে হামলা চালায় ডাকাতরা। তিনি বিমানবন্দর থেকে ভাড়া করা প্রাইভেটকারে করে ফেনীর দাগনভূঁইয়ার শরিফপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত ৭-৮ জনের ডাকাত দল পিকআপ ভ্যানে এসে তার গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এরপর অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে ৫টি মোবাইল, ১ ভরি স্বর্ণ, ৩ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ও ৪টি মালামালের প্যাকেট লুট করে, যার আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকা।
প্রবাসী বেলাল হোসেন বলেন, ঈদ উদযাপনের জন্য ৩ বছর পর দেশে ফিরেছি। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডাকাত দল আমাদের গাড়িকে ধাক্কা দেয়। গাড়িটি খাদে পড়তে পড়তে চালক নিয়ন্ত্রণ নিলে ডাকাতরা নেমে এসে অস্ত্রের মুখে সবকিছু লুট করে নেয়। এমনকি আমার পাসপোর্টও কেড়ে নেয়, যা পরে অনেক অনুরোধের পর ফেরত দেয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রবাসীকে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের চালক জাবেদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেছি। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে কুয়েতপ্রবাসী নাইমুল ইসলামের গাড়িতে ডাকাত দল হামলা চালিয়ে তার সর্বস্ব লুট করেছিল। একই কৌশলে দুই প্রবাসীকে টার্গেট করে লুটের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমবি