মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, খামারিদের উৎপাদিত পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর জন্য হাত বদলের কারণে যে দাম বাড়ে, সেখান থেকে যদি আমরা বের হতে চাই, তাহলে কিছু প্রক্রিয়া রাখতে হবে। এজন্য সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ, মুরগি ও গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এটি ভর্তুকির বিষয় নয়। আসল খরচে আমরা এটি করছি। 

রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি আরও বলেন, রোজার মাসে মাছের চেয়ে মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। এজন্য মাছ রাখা হয়নি। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের কষ্ট রয়েছে, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার নানা চেষ্টা করছি। আমরা মনে করি, শুধু শাস্তি দিয়ে বা অভিযান চালিয়ে এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আরেকটি বিষয় হলো, আমরা উদ্যোগ নিয়ে এ কাজটি করতে পারি, সেটাও প্রমাণ হয়েছে।

শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমানে বাজারের যে চাহিদা, তা কোনোভাবে সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা এটি করতে পারি, যে জরুরি প্রয়োজনীয় ডিম, দুধ, মাংসসহ যেগুলো রমজান মাসে বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলো সুলভ দামে বিক্রি করে দেখাতে পারি, তাহলে ব্যবসায়ীদের একটা ম্যাসেজ যাবে।

শিক্ষার্থীদের নতুন সংগঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিল, যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদের অবদান স্বীকার করতে হবে। তারা একটি নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নতুন চিন্তা, নতুন ধারণা আসুক। তাদের যদি কোনো ভুলভ্রান্তি থাকে, সেটা সময়মতো দেখা যাবে। একটি দল গঠন করা ভুল কিছু নয়। এটি আগামী নির্বাচনের আগে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সপ্তাহে একদিন ৬৫০ টাকা দরে ১০০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। এছাড়া পাঁচদিন ৮০ টাকা লিটার দুধ, ১১৪ টাকা ডজন ডিম, ২৫০ টাকা কেজি ড্রেসিং করা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হবে।

রেজাউল করিম/এমবি