বাবাকে গরম তেলে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় মেয়ে-মামা গ্রেপ্তার

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:১১

ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফেনীর পরশুরামে বাবাকে গরম তেলে ঝলসে দেওয়া ও চেতনা নাশক ঔষধ সেবন করানোর মামলায় মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা ও তার মামা সালক মো. জাবেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২ মার্চ) মামলার ভিডিও চিত্র ও স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ফাতেমাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি জানান, তার মামা জাবেদের নির্দেশেই বাবার ওপর এ বর্বর হামলা চালায়। পরশুরাম মডেল থানা পুলিশ তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
ভুক্তভোগী মো. নুরুন্নবী জানান, শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে তিনি বিছানায় শোয়া অবস্থায় ছিলেন। এ সময় তার মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা উত্তপ্ত সয়াবিন তেল ছুড়ে মারলে তার মুখসহ শরীরের একাংশ ঝলসে যায়। এ ঘটনায় নুরুন্নবী তার স্ত্রী মাধ্যমে চারজনকে আসামি করে পরশুরাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা, শ্যালক মো. জাবেদ, শ্বশুর মনির আহমদ ও ভাই আব্দুর রহমান।
দগ্ধ মো. নুরুন্নবীকে (৩৫) ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বাসপদুয়া গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। ফাতেমা আক্তার নিহা ও লামিয়া নুরুন্নবী ১ম স্ত্রীর সন্তান এবং ২য় স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তান সিয়াম।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নুরুন্নবীর মেয়ে শিশু লামিয়াকে পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকায় নিজ বাসায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। সেসময় ফাতেমা আক্তার নিহা জানিয়েছিল, হেলমেট পরা দুই যুবক স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা বেঁধে ও চোখ-মুখ ঢেকে লামিয়াকে হত্যা করে। তবে তখন সে পাশের ঘরে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়।
লামিয়ার মৃত্যুর এক বছর পার হলেও তার হত্যার বিচার এখনো হয়নি। এরই মধ্যে লামিয়ার ছোট বোন ফাতেমা আক্তার নিহা তার বাবাকে গরম তেল নিক্ষেপ করে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মামলার আরেক বিবাদী নুরুন্নবীর ভাই আব্দুর রহিম বলেন, আমি, আমার শ্বশুর মনির আহমদ ও শ্যালক জাবেদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, লামিয়া হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে নতুন এ ঘটনা সাজানো হয়েছে।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বাবাকে গরম তেল নিক্ষেপের মামলায় মেয়ে ও তার মামাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।
এমরান পাটোয়ারী/এমবি