Logo

সারাদেশ

মালয়েশিয়ায় যুবককে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

Icon

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮

মালয়েশিয়ায় যুবককে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফলের এক যুবককে মালয়েশিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী যুবকের নাম মো. সাগর (২০)। পরিবারের দাবি, দেড় বছর আগে তাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর থেকেই তিনি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে তাকে জিম্মি করে সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।

রোববার (২ মার্চ) বাউফল থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর মা বিউটি বেগম। তিনি ছেলের মুক্তির জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

মো. সাগরের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে। তার বাবা ইদ্রিস ফরাজি। পরিবারের অভিযোগ, একই উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের প্রবাসী মো. আমিন হাওলাদার তাকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যান।

সাগরের মা বিউটি বেগম বলেন, আমার ছোট ভাই সোহরাব প্যাদা ও তার শ্যালক আমিন হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। তারা বহু লোককে বিদেশে পাঠিয়েছেন। সোহরাব, আমিনের মাধ্যমে আমার ছেলেকে মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন এবং পাঁচ লাখ টাকা নেন। আমরা ধারদেনা করে টাকা জোগাড় করে দিই। দেড় বছর আগে আমার ছেলে মালয়েশিয়া যায়। কিন্তু সেখানে কোনো চাকরি না পেয়ে উল্টো নির্যাতনের শিকার হয়। এখন তারা আমাদের কাছ থেকে আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা দাবি করছে।

তিনি আরও বলেন, আমিন কিছুদিন আগে আমাকে ফোন দিয়ে আমার ছেলেকে মারধর করে। ফোনে আমার ছেলের কান্নার শব্দ শুনেছি। আমার ভাই সোহরাবও এ প্রতারণায় জড়িত। তারা দুজন মিলে আমার ছেলেকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নিতে চাইছে।

সাগরের মামা মো. ইউসুফ জানান, ২০২৩ সালে দালাল আমিন প্রথমবার অবৈধভাবে সাগরকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু থাইল্যান্ডে আটক হয়ে তাকে এক মাস ১৭ দিন জেল খাটতে হয়। পরে থাইল্যান্ড সরকার তাকে দেশে ফেরত পাঠায়। এরপর আমিন তাকে বৈধ ভিসায় মালয়েশিয়ায় নিয়ে যান। কিন্তু সাগর সেখানে যাওয়ার পর থেকে আবারও নির্যাতনের শিকার হন এবং তার পরিবারকে মুক্তিপণের জন্য চাপ দেওয়া হয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আমিন হাওলাদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে, সাগরের মামা সোহরাব প্যাদা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, আমার শ্যালকের মাধ্যমে সাগরকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এজন্য আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে, যা এখনো পরিশোধ করা হয়নি। তবে সাগরের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

আরিফুল ইসলাম সাগর/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর