পুলিশ সুপারের ব্রিফিং
তেঁতুলিয়ায় আটক ৫ ডাকাত টাঙ্গাইলে ডাকাতিতে জড়িত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯:৩৬

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ। এসব ‘ডাকাত দলের সদস্য’ টাঙ্গাইলে স্কুলবাসে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আটক হওয়া ডাকাত দলের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনশী।
আটকরা হলেন, রংপুর জেলার আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪১), আব্দুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), বাদশা ফকিরের ছেলে হাসানুর, আব্দুল জব্বারের ছেলে আয়নাল এবং দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রিয়াজউদ্দিনের ছেলে তহিদুল ইসলাম (৪০)।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলে স্কুলবাসে ডাকাতির পর সারা ডাকাতদের ধরতে অভিযান শুরু করেন বাংলাদেশ পুলিশ। অভিযানের সূত্র ধরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের একটি দল ডাকাতদের অবস্থান নিশ্চিত করতে রংপুরে আসেন। একপর্যায়ে ডাকাতদের অবস্থান পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরে দেখা যায়। পরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ পঞ্চগড় জেলা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর অতিরিক্ত পুলিশ প্রশাসন এস এম শফিকুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি এনায়েত কবীর, সদর থানার ওসি তদন্ত এইচএসএম সোহরাওয়ার্দিসহ ডিবি পুলিশদের সাথে নিয়ে অভিযান তল্লাশি শুরু করি। এরই মাঝে রাতেই খবর পাওয়া যায় তেঁতুলিয়ার আজিনগর এলাকায় বেলায়েত মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে। পরে তেঁতুলিয়ায় একদিকে গ্রামগুলোতে তল্লাশি অপরদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে নিবিড় তল্লাশি চালানো হয়। যেহেতু এটা প্রান্তিক এলাকা, তাই ডাকাত দলের পালানোর সহজ হবে না বলে বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে নিবিড় তল্লাশি চালানো হয়।
পুলি সুপার বলেন, রোববার সকালে তেঁতুলিয়া থেকে ভজনপুর দিয়ে বাসযোগে ডাকাতরা পালানোর সময় ভজনপুর চেক পোস্টে বাস থামিয়ে তল্লাশি করলে পাঁচজন ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। সে ডাকাতদের পরিবহন করে।
এ সময় ডাকাতদের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকাসহ সোনা-রুপার অলংকার উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। পুলিশ সুপার বলেন, ‘স্থানীয় কেউ জড়িত আছে কি না বা ডাকাত দলের আরও কোনো সদস্য পঞ্চগড়ে লুকিয়ে আছে কি না এসব নিয়ে তদন্ত চলছে।
এসকে দোয়েল/এমজে