Logo

সারাদেশ

যুবদল নেতা চাঁদাবাজ মাধব কারাগারে, সহযোগীদের খুঁজছে পুলিশ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ২৩:১৪

যুবদল নেতা চাঁদাবাজ মাধব কারাগারে, সহযোগীদের খুঁজছে পুলিশ

চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও যুবদল নেতা জয়দীপ চৌধুরী মাধবকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। পরে ওই রাতেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। মাধবকে গ্রেপ্তারের পরপরই আত্মগোপনে চলে গেছেন তার সহযোগীরা। এবার ওই চাঁদাবাজের সহযোগীদেরও খুঁজছে পুলিশ।

মাধব সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বাড়ি সিলেট মহানগরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের পার্শ্ববর্তী দাড়িয়াপাড়ায়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি তার বাহিনী নিয়ে বন্দর ও জিন্দাবাজার এলাকায় তৈরি করেন আধিপত্য। গড়ে তোলা বাহিনী নিয়ে করছিলেন চাঁদাবাজি।

এক সময়ের পুরান লেন গ্রুপের নেতা মাধব সম্প্রতি গ্রুপ বদল করে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে বন্দর ও জিন্দাবাজার এলাকার হকারদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতেন তিনি।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যার পর এক হকারকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় হকাররা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। মাধবকে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। এরপর যুবদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কাজল মিয়া। মামলা দায়েরের পরপরই গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেট ছেড়ে পালান মাধব।

রোববার (২ মার্চ) সকালে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের সহায়তায় ওই জেলার শান্তিগঞ্জ থানার দেবকুনা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সিলেটের বন্দরবাজার এলাকা থেকে চাঁদার জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজল মিয়া নামে এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তুলে নিয়ে যান মহানগর যুবদলের সদ্য বহিষ্কৃত সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ চৌধুরী মাধব ও তার লোকজন। এ ব্যবসায়ীকে জিন্দাবাজার এলাকায় নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। আরো ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যবসায়ী কাজলকে মারধরও করা হয়।

এ ঘটনায় কাজল বাদী হয়ে মাধবকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামি হিসেবে রোববার সকালে কোতোয়ালি থানার একটি দল সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের সহায়তায় শান্তিগঞ্জ থানার দেবকুনা গ্রাম থেকে মাধবকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, মাধবকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার সহযোগীরা এখনো অধরা। ব্যবসায়ী কাজলের দায়েরকৃত মামলায় সাকিব নামে একজনকে এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৭/৮ জনকে। বাকি সবাইকে খুঁজছে পুলিশ।

সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বাংলাদেশের খবরকে বলেন, মাধবকে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল পুলিশ। তবে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওসি বলেন, এজাহারভুক্ত সাবিকসহ বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

  • ওএফ
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর