
চট্টগ্রামের চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল কবিরের গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তিনটি গরু লুট করে পালিয়েছে ১২ থেকে ১৫ জনের দুর্বৃত্তের দলটি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্বজনরা বলছেন, সম্প্রতি ওই পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে এক জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই জনপ্রতিনিধি গরু চোর চক্রের ‘নেতা’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সেই চক্রের সদস্যরা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
রোববার (২ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চড়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ওসি মো. জাহেদুল কবির জানান, ডাকাতির সময় কর্মস্থলে ছিলেন। ডাকাতির বিষয়ে জানতে পেরে স্থানীয় থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ডাকাত দল তিনটি গরু লুট করেছে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, এই পুলিশ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়িতে তার বাবা আহমদ কবির ও ছোট ভাই মনিরুল কবির থাকেন। তাদের ঘরের পাশেই সেমিপাকা একটি গোয়ালঘর ছিল। সেখানে তাদের গরু ছিল।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি জাহেদুল কবিরের ছোট ভাই মনিরুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাকে ফোন করেন। তিনি জানান, আমাদের ঘরের পাশে একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। আমি ঘর থেকে বের হতেই ডাকাতরা আমার ওপর টর্চলাইট মারে। এরপর কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় দুটি ষাঁড় ও একটি বাছুর পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। তবে গাভিটি গাড়িতে তুলতে না পেরে ফেলে রেখে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমার পুলিশ কর্মকর্তা ভাইয়ের নেতৃত্বে এক জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই জনপ্রতিনিধি গরু চোর চক্রের নেতা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার চক্রের সদস্যরা এ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আমার ধারণা।’
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চকবাজার থানা পুলিশ সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোরালখালী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে নবী হোছাইনকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, পুলিশের উপর হামলা ও গরু চুরিসহ বিভিন্ন মামলা ছিল। দক্ষিণ চট্টগ্রামের গরু চোর চক্রের ‘নেতা’ হিসেবেও তার কুখ্যাতি রয়েছে।
ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/ওএফ