Logo

সারাদেশ

টাকা ছাড়া ফল না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর করলেন ছাত্রদল নেতা

Icon

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১৩:৩৪

টাকা ছাড়া ফল না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর করলেন ছাত্রদল নেতা

অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা সৈকত।

গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ফল ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রমিজ উদ্দীন সৈকতের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে উপজেলার সাতখামাইর বাজারে টাকা ছাড়া ফল না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী ফল ব্যবসায়ী এনামুল হক মুনসি শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রমিজ উদ্দীন সৈকত সাতখামাইর গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের ছেলে এবং গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার ইফতারের পূর্বে তিনি দলবল নিয়ে সাতখামাইর বাজারের রেললাইন সংলগ্ন ফলের দোকানে যান। সেখানে তরমুজের দরদাম করে টাকা ছাড়া নিতে চাইলে দোকানি এনামুল হক রাজি হননি। এ নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে সৈকত ও তার সহযোগীরা ব্যবসায়ী এনামুলকে মারধর করেন। 

ভুক্তভোগী এনামুল হক বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা সৈকত ও তার লোকজন আমার দোকানে এসে তরমুজ নিতে চান। দরদামের পর তারা টাকা ছাড়া নিতে চাইলে আমি রাজি হইনি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন। প্রথমে ঘুষি ও লাথি মেরে পরে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। আশপাশের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে আমাকে রক্ষা করেন।’

এ বিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি রাসেল আকন্দ বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা সৈকত ও তার সহযোগীরা বাজারের ব্যবসায়ী এনামুলকে মারধর করেছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

শ্রীপুর মডেল থানার এএসআই আবদুল মালেক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’

শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিফাত মোড়ল বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। দলে যদি কেউ এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযুক্ত রমিজ উদ্দীন সৈকতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

  • এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর