
‘পাট প্রকৃতির অমূল্য দান, মাটি, পরিবেশ ও অর্থনীতিতে তার অফুরান অবদান’— এই প্রতিপাদ্যে নীলফামারীতে জাতীয় পাট দিবস উদযাপন হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা এটিএম তৈয়বুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি চন্দ্র বিকাশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এবিএম সাইফুল ইসলাম, ক্রিয়েটিভ ফ্যাশনের উদ্যোক্তা কুলসুম বেগম ও জলঢাকার কৃষক ফেরদৌস ইসলাম।
সভায় জেলার ছয় উপজেলার পাট চাষি, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও মিল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় কৃষক ফেরদৌস ইসলাম অভিযোগ করেন, কৃষি বিভাগ থেকে সরবরাহ করা বীজ ও সার সময়মতো কৃষকের হাতে পৌঁছায় না, ফলে তা কোনো কাজে আসে না। তিনি নির্ধারিত সময়ে প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের দাবি জানান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে পাট আইন ২০১০ উল্লেখ করে বলেন, ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিসহ ২২টি পণ্যের মোড়ক হিসেবে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ আইন অমান্য করলে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। তিনি আরও জানান, পাট সংরক্ষণ ও উন্নয়নে ২০১৭ সালের নতুন আইনও কার্যকর রয়েছে।
তায়্যিব সরকার/এটিআর