Logo

সারাদেশ

‘পত্রিকার হকাররা টোকাইদের মতো, আমাদের নিয়ে ভাবার সময় নাই’

Icon

মো. নাজমুল ইসলাম পিন্টু

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১৬:৪৭

‘পত্রিকার হকাররা টোকাইদের মতো, আমাদের নিয়ে ভাবার সময় নাই’

অন্যের খবর মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিলেও নিজের জীবনযাত্রার খবর জানেন না মজিবর | ছবি : বাংলাদেশের খবর

মো.মজিবর মল্লিক—মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার একজন সাধারণ বাসিন্দা। প্রতিদিন ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাইকেল চালিয়ে আবার কখনো পায়ে হেঁটে পত্রিকা বিলি করেন তিনি। সামান্য এই আয় দিয়েই চলত সংসারের চাকা। তবে তার জীবনে এখন বিপদসংকুল সময় চলছে।

অভাবে-অনটনে অসুস্থ স্ত্রী এবং নিজের চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তিত এই পত্রিকা হকার। অন্যের খবর মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিলেও নিজের জীবনযাত্রার খবর জানা নেই এই মধ্যবয়সীর।

মজিবর মল্লিক জানান, ‘আমরা হকার মানুষ তো, আমাদের নিয়ে কারো মাথাব্যথা নাই। কারণ, হকাররা রাস্তার টোকাইদের মতো। যাযাবরের মতো জীবনযাপন করি। আমাদের কথা ভাবার সময়ই নেই।’

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২৫ বছর ধরে এই কঠিন পেশা চালিয়ে যাচ্ছেন মজিবর। তবে বর্তমানে তার জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। একসময় উপজেলার সকল দপ্তরে পত্রিকা বিক্রি করলেও এখন কেবল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পত্রিকা রাখে। পত্রিকার বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশায় চলে গেছেন।

মজিবর বলেন, উপজেলায় আগে ৮জন হকার ছিল, বর্তমানে ৪জন। ৪ জনের পরিবারই অসুস্থ। আমি অসুস্থ। আমার স্ত্রীও অসুস্থ। সামান্য এ আয় দিয়ে সংসার চালানো মুশকিল। প্রতিদিন ন্যূতম ১৫শ টাকার ঔষধ লাগে আমাদের। অন্যদিকে তো সংসার। জীবন খুবই কঠিন। আগের মতো পত্রিকা বিক্রি করতে পারি না।’

তিনি আরও জানান, সরকারের সাহায্য ছাড়া তাদের এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। ‘আমরা চাই সরকার আমাদের পাশে দাঁড়াবে এবং আর্থিক সহযোগিতা করবে।’

এ ছাড়াও মজিবর মল্লিক সরকারের কাছে একটি আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সরকার যদি প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে পত্রিকা ক্রয়ের নির্দেশনা দেয়, তাহলে আমাদের পত্রিকা বিক্রি বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের আয়ও বাড়বে।’

এটিআর/


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর