Logo

সারাদেশ

বগুড়ায় ঘোষণা দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

Icon

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১৯:০৯

বগুড়ায় ঘোষণা দিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

বগুড়ার শেরপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে রামেডাঙ্গা বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুঘাট ইউনিয়নের গোয়ালজানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- মাছচাষি আবু সুফিয়ান (৩২), শহিদুল ইসলাম (৬০), আবু সাঈদ (৫৪), জয়নুল আবেদীন (৫০), আফরোজা বেগম (৩৬), জহুরুল ইসলাম (৩৮), মাসুদ রানা (৪৫), লিটন (৫৪) ও মেরিনা খাতুন (৪৫)। এছাড়া মাছ ধরতে আসা গ্রামবাসীদের মধ্যে আহত হয়েছেন কাউসার আহমেদ (৩০), জাহিদুল ইসলাম (৩২) ও আরও দুজন, যাদের নাম জানা যায়নি।

আহত আবু সুফিয়ান জানান, তাদের আত্মীয়-স্বজন মিলে ১০ একর জমিতে জলাবদ্ধ এলাকা থাকায় সেখানে প্রায় ১০ লাখ টাকার তেলাপিয়া, রুই, ব্রিগেডসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়েছিল। বুধবার রাতে গ্রামবাসীরা মাইকিং করে ঘোষণা দেয় যে, ৩১.৮ একর খাস জমির রামেডাঙ্গা বিলে উন্মুক্তভাবে মাছ ধরা হবে।

এরপর বৃহস্পতিবার সকালে গোয়ালজানী গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে খলিলুর রহমান, মৃত ইসা খন্দকারের ছেলে রফিকুল ইসলাম, হামিদের ছেলে মাসুদ, হাকার জামিল ও মৃত আবেদ আলীর ছেলে আবু জাফরের নেতৃত্বে হলদিবাড়ি, সাতারা, সড়ো, শুটিবাড়ি, মির্জাপুরসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ ওই বিলে মাছ ধরতে আসেন। এ সময় সুফিয়ান, আবু সাঈদ, শহিদুল ও জয়নুল আবেদীন তাদের বাঁধা দিলে গ্রামবাসীরা তাদের মারধর করে গুরুতর আহত করেন।

আহত মেরিনা খাতুন জানান, তার স্বামী আমিনুরকে মারধর করা হলে তিনি তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।

মোখলেছার রহমান বলেন, আমাদের অংশে বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করছিলাম। কিন্তু গ্রামবাসীরা বেড়া ভেঙে মাছ ধরতে আসে। আমরা বাঁধা দিলে তারা আমাদের মারধর করে এবং বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয়।

গ্রামবাসী জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মাছ ধরতে এসেছি। কিন্তু সুফিয়ান ও তার দলবল আমাদের ওপর হামলা চালায়।

অন্যদিকে, বাবলু, রফিকুল ও কাজল দাবি করেন, এটি সরকারি খাস জমির বিল, যা কিছু লোক ভুয়া কাগজ তৈরি করে দখলের চেষ্টা করছে। তাই গ্রামবাসী একত্রে মাইকিং করে মাছ ধরতে নামে।

শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে খড়ের পালার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আব্দুল ওয়াদুদ/এমবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর