Logo

সারাদেশ

জীবনযুদ্ধে হার না মানা আবুল কাশেম

Icon

ঠাকুরগাঁও প্রতনিধি

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯

জীবনযুদ্ধে হার না মানা আবুল কাশেম

ছবি : বাংলাদেশের খবর

একটি পা প্রায় নেই। তবে জীবনযুদ্ধে কখনো থেমে যাননি আবুল কাশেম (৪৭)। জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে ডান পা পুড়ে যাওয়ার পরও পঙ্গুত্বের সঙ্গে সংগ্রাম করে তিনি এখন বেয়ারিং গাড়ি বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে ইট ভেঙে সংসার চালাচ্ছেন। তার সংগ্রামী জীবন যেন প্রমাণ, অদম্য মনোবল থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের ভেলাতৈড় এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের কিছুদিন পরেই ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় তার ডান পা পুড়ে যায়, যা তার জীবনের কঠিন সংগ্রামের সূচনা হয়। পরিবারের অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও কাশেম পঙ্গুত্ব থেকে মুক্তি পাননি। তবে জীবনের সংগ্রামে পিছিয়ে থাকেননি। নিজের ও স্ত্রীর জন্য কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন কাশেম।

২০১১ সাল থেকে ইট ভাঙার কাজ শুরু করেন কাশেম। তার সঙ্গে সঙ্গী একমাত্র বেয়ারিং গাড়ি। যার সাহায্যে দুই হাতের শক্তি দিয়ে কাজ করে তিনি জীবনযাপন করেন। প্রতিদিন সকালে বেয়ারিং গাড়িতে বসে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কাজের সন্ধান করেন কাশেম। মাঝে মাঝে ইট ভাঙার কাজ পেয়ে দিনপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে তার পরিবারে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। তিনি তাদের পড়াশোনা করাচ্ছেন।

কাশেমের মা মোছা. বেগম জানান, জন্মের পর আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে কাশেমের ডান পা সঠিকভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় পঙ্গুত্ব গ্রহণ করতে হয়। তবে কাশেম এ পরিস্থিতিতে কখনোই হার মানেননি। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কাশেম তার পঙ্গুত্বকে শক্তি হিসেবে নিয়েই জীবনযুদ্ধে লড়ছেন। তিনি আরও বলেন, যদি তাকে কোনো সহযোগিতা করা হয়, তাহলে তার জন্য অনেক ভালো হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, কাশেম আমাদের সমাজের একটি বড় উদাহরণ। তার সমস্যা সত্ত্বেও জীবনে থেমে নেই তিনি। এটা আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। কর্মের কোনো বিকল্প নেই, এটা কাশেমকে দেখে আমাদের শিখতে হবে। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবো।

আবু সালেহ/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর