সোনারগাঁয়ে ‘ছিনতাইকারীদের’ বাড়িতে এলাকাবাসীর হামলা, ভাঙচুর

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৮

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জাহিদ ও মেহেদী নামে দুই ‘ছিনতাইকারীর বাড়িতে’ হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টা দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, দমদমা গ্রামের জাকির হোসেন জিকুর বড় ছেলে ও সোনারগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভিপি দাবিদার জাহিদ এবং তার ছোট ছেলে মেহেদী হাসান দীর্ঘদিন ধরে মোগরাপাড়া ও আশপাশের এলাকায় ছিনতাই করছিল। দমদমা-কালাদরগা রোড, দমদমা ব্রিজ, বড় সাদীপুর, ষোলপাড়া আমতলা, লেবুছড়া, কাবিলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় পথচারী ও ভাড়াটিয়াদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট করে আসছিল।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতিদিন গড়ে ৫-১০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া হওয়ায় থানায় অভিযোগ করতে সাহস পাননি। এ কারণে এলাকায় ভাড়াটিয়ারা কমে যাচ্ছে এবং বাড়ির মালিকরাও বিপাকে পড়েছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে ষোলপাড়া আমতলা এলাকায় আরশাদ স্বর্ণকারের ভাড়াটিয়া শাহিনের এক আত্মীয় ছিনতাইয়ের শিকার হন। তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। শাহিন বিষয়টি জানতে পেরে জাহিদ ও মেহেদীর বাবা জাকির হোসেন জিকুর কাছে বিচার চাইলে উল্টো তাকে চরথাপ্পর মেরে বিদায় করা হয়।
এরপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার ঘোষণা দিলে দমদমা, কালাদরগা, দলদার, বড় সাদীপুর, বিশেষখানা, ষোলপাড়া আমতলা, লেবুছড়াসহ আশপাশের প্রায় দেড় সহস্রাধিক মানুষ জাহিদ ও মেহেদীর বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় জাহিদের এক আত্মীয় রাম দা হাতে এলাকাবাসীর দিকে তেড়ে এলে উত্তেজিত জনতা বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এদিকে, জাহিদ ও মেহেদীর ছিনতাই কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে জাকিরের বড় ভাই দমদমা গ্রাম প্রধান সৈয়দ হোসেনের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা জাকির হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে মুরুব্বিরা নারীদের নিরাপত্তার কথা বলে তাদের নিবৃত্ত করেন।
এর আগে মসজিদের মাইকে ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জাহিদ ও মেহেদীকে খুঁজতে অভিযান চালায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সজীব হোসেন/এমবি