Logo

সারাদেশ

সিলেটে মেডিকেল শিক্ষার্থী-ইন্টার্ন চিকিৎসদের কর্মবিরতি

Icon

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১৭:১২

সিলেটে মেডিকেল শিক্ষার্থী-ইন্টার্ন চিকিৎসদের কর্মবিরতি

পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। পাঁচ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এদিন সাড়ে ১১টার দিকে তারা সকল ক্লাস-পরীক্ষা এবং নির্ধারিত ডিউটি বর্জন করে মানববন্ধনসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে গণসংযোগ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ওসমানীর ইন্টার্ন চিকিৎসক সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. ইমদাদ হাসান বাংলাদেশের খবরকে জানান, এ কর্মবিরতি আজ ও কাল (শনি ও রবিবার) চলবে। এর মধ্যে দাবি না মানা হলে পরে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। এর আগে গত  ২৩, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন তারা।

মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা হচ্ছে
১. ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে গত সরকার দিয়ে গেছে।

২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা।

৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরির প্রবেশপথ তৈরি। এ ছাড়া প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।

৪. বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এরই মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফগণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়াও SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।

৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।

এদিকে, ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কাজে যোগ না দেওয়ায় ওসমানী হাসপাতালে রোগীদের সেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের স্থায়ী চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

রেজাউল হক ডালিম/এটিআর

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর