Logo

সারাদেশ

কুমিল্লার ১৭ উপজেলার দায়িত্বে ১১ নারী ইউএনও

Icon

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৪:২৪

কুমিল্লার ১৭ উপজেলার দায়িত্বে ১১ নারী ইউএনও

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে ১১টিতে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ জেলার প্রশাসনিক দায়িত্বে নারীদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইউএনওরা ২৪ ঘণ্টাই সেবায় নিয়োজিত থাকেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি কিংবা নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটলে তারা দ্রুত মাঠে যান। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি তারা উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার দায়িত্বও পালন করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩৪তম ব্যাচের সাহিদা আক্তার। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৪তম ব্যাচের ক্ষেমালিকা চাকমা। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই থেকে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের রুবাইয়া খানম। ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই থেকে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের সুমাইয়া মমিন। ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের নাজিয়া হোসেন।

২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৪তম ব্যাচের নাঈমা ইসলাম। ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের ফাহরিয়া ইসলাম। ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৪তম ব্যাচের হ্যাপী দাস। ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের ফাতেমা তুজ জোহরা। ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৬তম ব্যাচের মাহমুদা জাহান। সবশেষ ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ জেলার লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিসিএস ৩৪তম ব্যাচের হিমাদ্রী খীসা।

আদর্শ সদর উপজেলার ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, কাজের সময় আমরা নারী বা পুরুষ হিসেবে ভাবি না। রাত-দিন নির্বিশেষে দায়িত্ব পালন করি। তবে বর্তমানে কাজের চাপ অনেক বেশি।

হোমনার ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, আমি দুই বছর ধরে হোমনায় কাজ করছি। মানুষ আমাকে ইউএনও হিসেবেই দেখেছে, নারী-পুরুষ বিবেচনা করেনি। জনগণের সেবাই আমার প্রধান লক্ষ্য।

সদর দক্ষিণের ইউএনও রুবাইয়া খানম বলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রূপান্তর করতে দিন-রাত কাজ করছি। জনগণ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা পেয়েছি। সরকারের সকল কাজ বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ১৭ উপজেলার মধ্যে ১১টিতে নারী ইউএনওরা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা প্রশাসনিক, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার কাজ করছেন। অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপ থাকলেও তারা কখনো পিছিয়ে থাকেননি। বরং তাদের কাজের প্রতি বেশি দায়িত্বশীলতা দেখেছি।

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর