রাজবাড়ীতে গ্রাম্য সালিশে সংঘর্ষ, একই পরিবারের আহত ২০

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৯:১৬

ছবি : বাংলাদেশের খবর
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গ্রাম্য সালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ২০ জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৯ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রামের কহেদ শিকদারের ছেলে সবুর শিকদার (৫০), বদর উদ্দিনের ছেলে ও নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন (৫৫), হুমায়ুন কবির (৪২), তুহিনুর রহমান (৩৪), আলমগীর হোসেনের ছেলে রাশেদুল মোল্লা (২৫), বাচ্চু মোল্লার ছেলে ফরহাদ মোল্লা (৩৮), আজিজুল মণ্ডলের ছেলে নাসির মণ্ডল (৪৫), কফিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম (৫০), মজিবর রহমানের ছেলে বাবলু মোল্লা (৩৫), শিবলু মোল্লা (৩২), আজিজুল মণ্ডলের ছেলে নাসির মণ্ডল (৪৫), আরব আলীর ছেলে ইলিয়াস সিকদার (৪৫), সৈয়দ আলীর ছেলে আশরাফ শিকদার (৫২), খোরশেদ মোল্লার স্ত্রী নূরজাহান বেগম (৫০), জিল্লু শিকদারের স্ত্রী রিক্তা শিকদার (৩০), রফিক শিকদারের স্ত্রী হাসি খাতুনসহ (৩৫) ২০ জন।
আহত সবুর শিকদারের ভাতিজা নুরুজ্জামান শিকদার বলেন, আমাদের প্রতিবেশী জহুরুল মণ্ডলের সঙ্গে আমার চাচা সবুর শিকদারের জমিজমা নিয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। জমিজমার এ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। গত বৃহস্পতিবার বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ঘর তোলেন জহুরুল। এ বিষয়টি আমরা বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউল আজম চুন্নু ও নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ওহাব মণ্ডলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই।
তারা দুই পক্ষকে নিয়ে রোববার সকালে বিলটাকাপোড়া ঈদগাহ মাঠে সালিশে বসেন। সকাল ১১টার দিকে শালিস চলাকালে হঠাৎ করেই জহুরুল মণ্ডলের নেতৃত্বে লতিফ শেখ, সেলিম মণ্ডল, রিপন সরদার, জিয়া সরদার, আসাদসহ অন্তত দুই শতাধিক লোক রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লাঠি, হকিস্টিক ও হাতুড়ি নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আমাদের অন্তত ২০ জনকে গুরুতর জখম করে। এছাড়াও তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ১২ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও চারজন বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউল আজম চুন্নুর কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজী আব্দুল কুদ্দুস/এমবি