বিএনপি মিডিয়া সেলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, ৪ ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১৪:১৫
-67cff10b0b148.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বিএনপি মিডিয়া সেলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে ৪ ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৭ জন পালিয়ে গেছে। সোমবার (১০ মার্চ) রাতে জেলা সদরের ভাঙা ব্রীজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনায় সোমবার (১০ মার্চ) রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা কখনো কখনো নিজেদের দৈনিক দিনকাল ও দিগন্ত টিভিসহ একাধিক পত্রিকা ও টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তবে কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি তারা। এ সময় গণতদন্ত স্টিকার লাগানো একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৩৯৬৮।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ছাড়াও আরও অন্তত ৭জন সোমবার বেলা ১১টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে করে দীঘিনালার রাকীব ও সেন্টুর ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে নিজেদের বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতিনিধি ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য পরিচয় দেন এবং তারেক রহমান তাদের পাঠিয়েছে মর্মে হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। প্রাইভেট কারের সামনে গণতদন্ত নামের পত্রিকার স্টিকার লাগানো ছিল।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, প্রথমে ব্রিক ফিল্ড মালিক সেন্টু কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা করা হয়। সেন্টু ভয়ে এক লাখ টাকা দেন। এরপর বাদী মো. আলমগীর হোসেনে ব্রিক ফিল্ডে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি এক লাখ দিতে চাইলেও না নিয়ে উল্টো হুমকি-ধমকী দিতে থাকেন। বিষয়টি ব্রিক ফিল্ড মালিক সমিতির সদস্যদের জানানো হলে ব্রিক ফিল্ড মালিকসহ লোকজন জড়ো হলেও আসামীরা আরো ক্ষীপ্ত হন।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘সোমবার দুুপুরে এখানে চার জন সাংবাদিক এসেছিল। তারা নিজেদের বিএনপির মিডিয়া সেলের লোক বলে পরিচয় দেন। আমার সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করেছিল। পরে তারা চলে যান।’
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠানো হয়েছে।’
ছোটন বিশ্বাস/এমআই