Logo

সারাদেশ

৯ মাস ধরে বেতন বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের

Icon

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:০৪

৯ মাস ধরে বেতন বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের

ভোলার চরফ্যাসনের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সিএইচসিপিরা দীর্ঘ নয় মাস ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ার কারণে দুঃখ-কষ্টে জীবনযাপন করছেন। তারা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুসহ সব বয়সী রোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। তবে বেতন বন্ধ থাকার কারণে তাদের দুর্দশার যেন শেষ নেই।

গ্রামের মানুষ যাদের আয় সীমিত, তারা এ স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে খুবই খুশি। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রায় ২৬/২৭ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যা বিশেষভাবে দরিদ্র মানুষদের জন্য উপকারী। কিন্তু সিএইচসিপিরা বেতন না পেয়ে দুঃখে দিন পার করছেন। তাদের দ্রুত বেতন-ভাতা চালুর দাবি জানাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা।

এওয়াজপুর কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সিএইচসিপি নাদিরা খানম ও আসলামপুরের নাছিমা বেগম বলেন, যাতায়াত ভাড়া দিয়ে নিয়মিত ক্লিনিকে গিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছি। কিন্তু বেতন না পেয়ে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সরকারের কাছে দ্রুত বেতন-ভাতা চালু করার দাবি করছি।

আসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা তামান্না বলেন, আমরা যখন একটু অসুস্থ হই, তখন বাড়ির পাশের ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিই। আপা দেখে বেশ কিছু ওষুধ দেন, কোনো টাকা লাগে না। কিন্তু বেতন না পেয়ে তারা যদি ক্লিনিকে আসা বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমাদের চিকিৎসা পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আর আমরা চিকিৎসার অভাবে মারা যাবো।

ভোলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুলাই মাস থেকে সিএইচসিপিদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। শুধু ভোলা-চরফ্যাসন নয়, সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের বেতনও বন্ধ রয়েছে। যা তাদের জন্য হতাশাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও কমিউনিটি ক্লিনিক তদারকি কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক বলেন, ৯ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে, তবে ঊর্ধ্বতন মহলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আশা করি শীঘ্রই তারা বেতন পাবেন। যদি কেউ বেতন না পেয়ে সেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন, তাদের বেতন কর্তন করা হবে। ঢাকার একটি টিম সুপারভিশনে কাজ করছে। এ উপজেলা ৬৬টি হেলথ কেয়ার সিএইচসিপি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এম ফাহিম/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর