মারধরের কারণ জানতে চাওয়ায় কাটা হলো যুবদল নেতার রগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১৭:১৯

বাগেরহাট পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে শ্রমিক দল নেতা সেলিম ভুইয়ার ভাই আজিম ভুইয়া ও তার লোকজন। বুধবার (১২ মার্চ) রাতে শহরের বাসাবাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে খুলনা ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় শ্রমিক দল নেতা সেলিম ভুইয়ার ভাই আজিম ভুইয়া ও তার লোকজন শহরের নাগের বাজার এলাকায় মো. জসিম উদ্দিনের প্রতিবেশী আজিম খানকে মারধর করেন। রাত ৮টার দিকে বাসাবাটি এলাকার বগা ক্লিনিকের সামনে বসে আজিম ভুইয়ার কাছে এ ঘটনার কারণ জানতে চান যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজিম ভুইয়া ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে জসিম স্থানীয় মজিদ কসাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তবে হামলাকারীরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই পায়ের রগ কেটে দেয়।
আহত যুবদল নেতা মো. জসিম উদ্দিনের মামাতো ভাই সাইফুল ইসলাম পিঞ্জুর বলেন, ‘শুধু মারধরের কারণ জানতে চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজিম ভুইয়া ও তার লোকজন জসিমকে কুপিয়েছে। সে ওদের হাত থেকে বাঁচতে ঘরের মধ্যে পালিয়েও রক্ষা পায়নি। এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা খুলনা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি চিকিৎসার জন্য।’
মারধরের শিকার আজিম খানের স্ত্রী নাদিরা বেগম বলেন, ‘আজিম ভুইয়া ও তার লোকজন এর আগেও আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। এরপর বুধবার আমার স্বামীকে মেরেছে, আর এরপর জসিম কাকাকে মেরেছে। হামলার সময় আজিম ভুইয়ার সঙ্গে কয়েল ফারুক, মাসুদ, মুরাদ, অভি, শাওনসহ ১৫-১৬ জন ছিল। আমরা এর বিচার চাই।’
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় আজিম ভুইয়ার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন মাছ ব্যবসায়ীরা। তারা আধা ঘণ্টা মাছ বাজার বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান।
মাছ ব্যবসায়ী মো. ওসমান বলেন, ‘জসিমকে মারধরের পর আজিম ভুইয়া ও তার লোকজন এসে মাছ ব্যবসায়ী কুটুকে মারধর করেছে। এর আগে গরুর গোশত ব্যবসায়ী আব্দুস সালামও আমাদের এক মাছ ব্যবসায়ীকে মারধর করেছে। আমরা আজিম ভুইয়া, সেলিম ভুইয়া ও আব্দুস সালামের বিচার চাই।’
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উল হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
- আবু তালেব/এমজে