Logo

সারাদেশ

‘একাধিকবার ধর্মান্তরিত’ ব্যক্তিকে নিয়ে চা বাগানে হিন্দু-মুসলিমদের উত্তেজনা

Icon

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৩

‘একাধিকবার ধর্মান্তরিত’ ব্যক্তিকে নিয়ে চা বাগানে হিন্দু-মুসলিমদের উত্তেজনা

বারবার ধর্মান্তর হওয়া আবদুর রহমান ওরফে সুমন কুমার ভর

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই চা বাগানের স্টোর ক্লার্ক কর্মকর্তার একাধিকবার ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগানের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তেজনা থামাতে ওই কর্মকর্তাকে বাগান ব্যবস্থাপক ছুটিতে পাঠালেও থামছে না উত্তেজনা। বাগানের হিন্দু-মুসলিম সবার একটাই দাবি, বিতর্কিত ওই কর্মকর্তার অপসারণ।

জানা যায়, কেদারপুর গ্রুপের মালিকানাধীন ঝিমাই চা বাগানের স্টোর ক্লার্ক  ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া চা বাগানের মানিক কুমার ভরের ছেলে সুমন কুমার ভর (৩৮) ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল এফিডেভিট করে হিন্দু থেকে স্ত্রী-সন্তানসহ মুসলমান হন। ১৫ রমজান কুলাউড়া দক্ষিণবাজার জামে মসজিদে বাদ আছর তিনি কালেমা পড়েন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সুমন কুমার ভরের নাম পরিবর্তন করে মো. আব্দুর রহমান এবং তার স্ত্রী শ্রাবন্তী গোয়ালার নাম আমেনা বেগম রাখা হয়। তাদের সাথে একমাত্র কন্যাসন্তানও ধর্মান্তরিত হন।

ধর্মান্তরিত হওয়ার পর মুসলমান রীতিতে ভালোই কাটছিল নওমুসলিম আব্দুর রহমানের পরিবারের দিনকাল। বাগানের মুসলমানরা তাকে বাসায় বাসায় দাওয়াত খায়ানোর পাশাপশি সার্বক্ষণিক সকল ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে তাকে রাখতেন।

চলতি রমজান মাসে রোজা রাখা বন্ধ ও মসজিদে নামাজ পড়াও বন্ধ করে দেন ওই ব্যক্তি। তাকে বাগানের লোকজন জিজ্ঞেস করলে জানান, তিনি আবারও হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছেন। এতে তাকে নিয়ে বাগানের হিন্দু ও মুসলমান কমিউনিটিতেও বিভেদ সৃষ্টি হয়। দেখা দেয় উত্তেজনা। বাগান ব্যবস্থাপক বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে আপাতত উত্তেজনা অবসানের চেষ্টা করেন।

কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের মেম্বার ও ঝিমাই চা বাগানের বাসিন্দা জমির আলী বলেন, বুধবার বাগানে এই ঘটনা নিয়ে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে বিতর্কিত ওই কর্মকর্তাকে বাগান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হিন্দু ও মুসলমান সমাজ ঐকমত্য। পরে বাগান ম্যানেজারের হস্তক্ষেপে তাকে সরিয়ে দেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে ওই কর্মকর্তা বাগানে ফেরত আসলে আবারও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। ফলে তাকে স্থায়ীভাবে বাগান থেকে অপসারণের দাবি সবার।

এ ব্যাপারে বাগান ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাগানে উত্তেজনা দেখা দিলে আমি তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। বেশ কিছুদিন থেকে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বাগানে হিন্দু মুসলমানরা মিলে মিশে থাকে। কারো ব্যক্তিগত সমস্যার দায়ভার আমি কিংবা কোম্পানি নেবে না। 

তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বিষয়টি সমাধান করে বাগানে যোগদান করতে বলেছি। বাগানের হিন্দু-মুসলিম কেউই তাকে মেনে নিতে পারছে না।

এ ব্যাপারে নওমুসলিম আব্দুর রহমান (সুমন কুমার ভর) এর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

  • জিয়াউল হক/এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর