Logo

সারাদেশ

‘ক্যাডার বাহিনী’ নিয়ে বাড়ি ও পানের বরজ দখলের অভিযোগ

Icon

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০

‘ক্যাডার বাহিনী’ নিয়ে বাড়ি ও পানের বরজ দখলের অভিযোগ

ভোলার লালমোহনে বসতবাড়ি, পানের বরজ ও বাগান জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রামগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চর উমেদ এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুল্লাহ মৌলভী বাড়িতে ১১ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মো. মহিবুল্লাহ জানান, লালমোহনের ভাঙ্গাপোল এলাকার বাসিন্দা মৃত জায়নাল আবেদিন মাস্টারের ছেলে মো. নয়ন, প্রায় ৫০-৬০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ক্যাডার বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভয়ভীতি দেখায় এবং বসতবাড়ি, বাগান ও পানের বরজ দখলের চেষ্টা করে। 

মহিবুল্লাহ অভিযোগ করেন, তারা তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে খোঁজাখুঁজি করলেও তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। এ সময় তার বাড়ির নারীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তার ভোগদখলীয় জমিতে ফিতা দিয়ে মেপে খুঁটি গেড়ে দখলের চেষ্টা চালানো হয়।

মহিবুল্লাহ আরও জানান, নয়নের পিতা মৃত জায়নাল আবেদিন মাস্টার গং ১৯৫৭ সাল থেকে সাতটি দলিলের মাধ্যমে মোট ৮১ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। তিনি দাবি করেন, সেই দলিল অনুযায়ী তারা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে জমি ভোগদখল করে আসছেন। যার খতিয়ান নম্বর সিএস ২৯৪ এবং এসএ ৩৯৫।

মহিবুল্লাহর বড় বোন হাসিনা বেগম জানান, নয়নের পিতা তার সম্পূর্ণ ওয়ারিশি সম্পত্তি বিক্রি করে গেছেন। এখন হঠাৎ করে নয়ন কেন জমি দখলের চেষ্টা করছে। তারা বিষয়টি রামগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাফর মিয়াকে জানান। তিনি রোজার পরে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপরও নয়নের ‘ভাড়াটে’ ক্যাডার বাহিনী জমি দখলের জন্য মাপামাপি করে সীমানা নির্ধারণ করে স্থান ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘৮১ শতাংশ জমির মালিক আমার পিতা জায়নাল আবেদিন ছিলেন। সেই সূত্রে আমরা ওয়ারিশি মালিক। তবে আমার স্বজনরা যদি ওই জমি বিক্রি করে থাকে এবং বৈধ দলিল থাকে, তাহলে আমার জমির ওপর কোনো দাবি নেই।’

লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

  • এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর