খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:০৭
-67d3ab9f49a18.jpg)
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার মরা খালে দখলদারের ছোবল পড়েছে। চলছে বসতবাড়ি নির্মাণসহ পুকুর খননের কাজ। উপজেলার গামৈরতলা গ্রামের দৃশ্য এটি। বর্ষাকালে এখনো খালটিতে কোমর সমান পানি থাকে। স্থানীয়ভাবে কেউ এ খালের নির্দিষ্ট নাম জানেন না। তবে একসময় এটি পাখিমারার খালের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।
কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়ক নির্মাণের ফলে খালটির পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবুও বর্ষায় রাস্তার দুই পাশের খাল দিয়ে বিলের পানি ওঠানামা করে। কিন্তু বর্তমানে খালটি নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
খালপাড়ের বাসিন্দা হানিফ তালুকদার জানান, একসময় পাখিমারার খালের সঙ্গে ডলমুইয়া খালের সংযোগ ছিল এই খালটির। নেয়ামতপুর গ্রামের দিকের অংশ ভরাট হয়ে কৃষিজমির সঙ্গে একীভূত হয়ে যাচ্ছে। গামৈরতলার অংশ এখনো বর্ষায় কোমর সমান পানিতে পূর্ণ থাকে এবং এটি কৃষিকাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রথমে রাস্তা নির্মাণের ফলে পানি চলাচল ব্যাহত হয়। এরপর ইসলামপুর গ্রামের হাবিব গাজী চাষযোগ্য কৃষিজমি দেখিয়ে রাস্তার দুই পাশ বন্দোবস্ত নেন। দীর্ঘদিন এটি অপরিবর্তিত থাকলেও এখন তিনি খাল ভরাট করে বসতবাড়ি নির্মাণ করছেন। স্থানীয়রা খাল রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
হাবিব গাজী জানান, ২৭-২৮ বছর আগে তিনি দেড় একর জমি বন্দোবস্ত পেয়েছেন। তার দাবি, এতে পানি চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে একসময় পানিতে পূর্ণ থাকা খাল কীভাবে চাষযোগ্য কৃষিজমি হিসেবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল—এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দেননি।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আরাফাত হোসেন বলেন, ‘সরকারি খাল দখল ও ভরাট কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। খাল না থাকলে কৃষি উৎপাদন সংকটে পড়বে। এটি প্রতিরোধ করতে হবে। আমি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। খাল রক্ষায় বাঁধ অপসারণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যায়ভাবে খাল কিংবা খাস জমি দখলের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
- জাকারিয়া জাহিদ/এমজে