Logo

সারাদেশ

তদন্ত কর্মকর্তার যোগসাজসে ধর্ষকের জামিন, মেহেরপুরে থানা ঘেরাও

Icon

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:০০

তদন্ত কর্মকর্তার যোগসাজসে ধর্ষকের জামিন, মেহেরপুরে থানা ঘেরাও

মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সহযোগিতায় আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সদর থানা ঘেরাও করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ছাত্র-জনতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

গত রাত (বৃহস্পতিবার) ১০টার দিকে প্রায় কয়েকশ ছাত্রছাত্রী মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করে রাখেন। পরে মেহেরপুর সেনাবাহিনীর মেজর ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় গিয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই সঞ্জয় কুমার মল্লিককে প্রত্যাহার ঘোষণা করেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।

জানা গেছে, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মেহেরপুরের নতুন মদনাডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পে ৯ বছরের এক শিশুকন্যাকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে বায়োজিদ (২০) নামের এক যুবক। তার বন্ধু আল আমিন (২০) এই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিওটি ফাঁস করার হুমকি দিয়ে তারা ৫০ হাজার টাকা আদায় করে এবং পুনরায় এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তারা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সঞ্জয় কুমার মল্লিকের সহযোগিতায় আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। 

বিষয়টি জানতে পেরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা এসআই সঞ্জয় কুমার মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরবর্তীতে জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্যসচিব মোজিদুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রজনতা একত্রিত হয়ে তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করেন।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম জানান, ছাত্র-জনতা তাদের দাবিতে এসআই সঞ্জয় কুমার মল্লিককে ক্লোজ করার দাবি জানালে, তিনি তা মেনে নিয়ে এসআইকে ক্লোজ করেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

  • আকতারুজ্জামান/এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর