আলফাডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় অভিযোগ

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৪:২২
-67d68a484d21f.jpg)
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. আমির হোসেনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি উপজেলার দক্ষিণ শিরগ্রাম এলাকার রজব আলী মীরের ছেলে সৈয়দ সোহেলকে (৪২) দায়ী করেছেন।
রোববার (১৬ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে একটি লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন আমির হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, সৈয়দ সোহেল এলাকায় আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে পরিচিত। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই সৈয়দ সোহেল পরিকল্পিতভাবে বর্তমান সরকারের বিপক্ষে কথাবার্তায় লিপ্ত থাকে। সেইসঙ্গে শেখ হাসিনা সরকার যেকোনো বিনিময়ে দেশে এসে সরকার গঠন করবে মর্মে সমাজে প্রচার করতে থাকে। বর্তমান সরকার বিরোধী কথাবার্তা বলার কারণে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। আমি জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি করার কারণে স্থানীয়রা বিষয়টি আমাকে জানায়। পরবর্তীতে আমি সৈয়দ সোহেলকে এ ধরনের কথাবার্তা বলা থেকে বিরত থাকতে বললে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরই জের ধরে সম্প্রতি সৈয়দ সোহেলের ব্যবহৃত ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট পোস্ট করেন।
আমির হোসেন বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মনগড়া মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। এতে আমার অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বর্তমানে গুজব লীগে পরিণত হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার তারই প্রমাণ করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রাখছি।
অভিযুক্ত সৈয়দ সোহেল ঘটনার অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোনো পোস্ট আমি ফেসবুকে করিনি। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আমির হোসেন কোনো চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এরকম কোনো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে কখনও শুনিনি।
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাকিবুল/এমবি