লক্ষ্মীপুরে পাউবোর ৪ একর জমি ২৮ ব্যক্তির দখলে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০০:১০

লক্ষ্মীপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রায় চার একর জমি ভূমিগ্রাসী চক্র দখল করে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করেছে। রামগতি উপজেলার চরলক্ষী মৌজার আর. এস ৫নং খতিয়ানের ১০১৪৪ ও ১০১৪৫ দাগে রামগতি মাছ ঘাট সংলগ্ন পাউবোর ওয়াপদা কলোনী নামে পরিচিতি বেদখল হয়ে যায়। ২৮টি পরিবার আলাদাভাবে এ জমিতে টিনসেড ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, পাউবোর বেদখল হওয়া ৪ একর জমির তিন পাশে বাউন্ডারি ওয়াল রয়েছে। রয়েছে পুরানো ৭টি পাকা দালান যার মধ্যে দুটি দুইতলা ও অপরগুলো একতলা ভবন। একটি পুকুর ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ-বনজ গাছ।
জেলা পানি উন্নায়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬২ সালে নোয়াখালী জেলার অধীন থাকাকালে এই ওয়াপদা কলোনী লক্ষ্মীপুরের সাব ডিভিশন অফিস ছিল। বর্তমানে পরিত্যক্ত ওই সাতটি ভবনে কর্মকতাদের অফিস কার্যালয় ছিল। পরে ১৯৮৪ সালে লক্ষ্মীপুরকে আলাদা জেলায় উন্নীত করার পর সাব ডিভিশন অফিস পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলোনী হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখানে কর্মকতাসহ অফিস সহায়করা বসবাস করতেন।
রামগতি ও কমলনগর উপজেলা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গণ থেকে রক্ষাকল্পে ২০১৪ সাল থেকে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ অব্যাহত আছে। বেড়িবাঁধসহ এসব কাজ পাহারা দিতে অফিস সহায়কদের এখানে থাকতে হয়। কিন্তু ওয়াপদা কলোনী ভূমিগ্রাসী চক্রের দখলে থাকায় অফিস সহায়করা এ কলোনীতে থাকা এখন নিরাপদ মনে করছেন না।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দখলদারদের সরে যেতে এ পর্যন্ত একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দখলদাররা এসব কানেই নিচ্ছেন না। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন অফিস থেকে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
জানা গেছে, ওয়াপদা কলোনীর দখলদাররা হলেন- মো. আমির, রাশেদা বেগম, আলাউদ্দিন, সুলতানা বেগম, ছায়েরা বেগম, নাজমা বেগম, মো. নূর উদ্দীন, মো. ছালেহ উদ্দীন, মনোয়ারা বেগম, মুর্শিদা বেগম, লিটন, মিলন, আশরাফ, বেচুমিয়া, ইউসুফ, কবির হোসেন, জামাল, আলাউদ্দিন, হাসিম, কবির মাঝি ও মুর্শিদা বেগমসহ ২৮ জন।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য তালিকা দেওয়া হয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান টিপু/ওএফ