কুমিল্লায় স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৭:৫৮
-67d80e735ad0e.jpg)
কুমিল্লার লাকসামে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী নোয়াখালীর সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা। গত ১৩ মার্চ তিনি স্বামীর সঙ্গে লাকসামে তার নানা শ্বশুরের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১৪ মার্চ ভোরে লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার জন্য তারা একটি সিএনজিতে ওঠেন।
সিএনজি চালক মো. মাসুদ তাদের স্বামী-স্ত্রী কি না, তা জানতে চেয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে কৌশলে লাকসামের গন্ডামারা এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এরপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় স্বামীকে ফেলে রেখে তরুণীকে অপহরণ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ভিকটিমকে প্রথমে লাকসামের পাইকপাড়া এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে অভিযুক্ত মো. মাসুদ ও মোহাম্মদ আলী তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে লাকসাম পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিলকিছ আক্তার কল্পনার ভাড়া বাসায় আবারও তাকে নির্যাতন করা হয়।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তার মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, মনোহরপুর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫), পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো. মমিনের ছেলে মো. মাসুদ (২৩), বাতাখালী এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মনির হোসেন হৃদয় (২৩), উত্তর বিনই এলাকার মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৩), মধ্য লাকসাম এলাকার মৃত মোস্তাফিজ মজুমদারের স্ত্রী বিলকিছ আক্তার কল্পনা (৪০)।
লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, ‘ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দিনভর অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আমরা এ ঘটনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছি।’
- সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ/এমজে