Logo

সারাদেশ

পটিয়ায় উরস নিয়ে উত্তেজনা, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

Icon

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১৫:৫৭

পটিয়ায় উরস নিয়ে উত্তেজনা, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

চট্টগ্রামের পটিয়ায় উরস মাহফিলকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন। হিলচিয়া হাতিয়ারঘোনা এলাকায় কাজী এবাদুল্লাহ শাহ (র.)-এর উরস ও মসজিদ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হিলচিয়া হাতিয়ারঘোনা এলাকায় কাজী এবাদুল্লাহ শাহ (র.)-এর উরস ও মসজিদ কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর ধরে অসংখ্যবার গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ২০-২৫টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।

২০২২ সালের ১২ এপ্রিল পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ইউএনও, ওসি, বিরোধীয় পক্ষের প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বিরোধীয় সকল কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ সময় আবুল বশর, জালাল উদ্দিন ও মনজুরুল ইসলাম কাজলকে নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন।

সম্প্রতি মোনাফ পক্ষ মসজিদের দানবাক্স দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের ২ জুন (শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় টানটান উত্তেজনা দেখা দিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শান্তি বজায় রাখেন।

আগামী শুক্রবার (২১ মার্চ) কাজী এবাদুল্লাহ শাহ (র.)-এর বার্ষিক উরস শরীফ। এ উপলক্ষে মসজিদের মাঠ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় হাতিয়ারঘোনা এলাকার সচেতন নাগরিক বাহাদুর ইসলাম খান বলেন, আবদুল মোনাফ নামের এক ব্যক্তি, যার বাপ-দাদার বাড়ি এই গ্রামে নয়, তিনি জোরপূর্বক মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল দখল করতে চাইছেন। বিগত দুই বছর ধরে সংঘর্ষ এড়াতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মসজিদের মাঠে কোনো পক্ষকে মাহফিল করতে দেওয়া হয়নি।

একই এলাকার বাসিন্দা মোজাহের মিয়া বলেন, মসজিদের চারপাশের সম্পত্তিতে মোনাফ পক্ষের কোনো অধিকার নেই। বিগত বছরগুলোতে মাঠের দক্ষিণ পাশে উরস কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান পক্ষ ও উত্তর পাশে মোনাফ পক্ষ উরস মাহফিল পরিচালনা করে আসছিলেন। এই বছর হঠাৎ মোনাফ পক্ষ মাঠে তাদের মাহফিল করার প্রস্তুতি নেওয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

এক পক্ষের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রতিপক্ষ মোনাফ গং মাঠ ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান বলেন, ‘গত বছর যে পক্ষ যেখানে মাহফিল করেছে, একইভাবে এই বছরও সেখানে করার নির্দেশনা দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শান্তি বজায় রাখতে আন্তরিক।’

  • হেলাল উদ্দিন নিরব/এমজে

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

উরস মাহফিল উত্তেজনা সংঘর্ষ আশঙ্কা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর