
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বরগুনার কালিবাড়ীতে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলার পর বাদীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
গত ৫ মার্চ বরগুনার কালিবাড়ী এলাকায় এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা মন্টু চন্দ্র দাস। ওই দিনই পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত সিজীব চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তবে ১২ মার্চ মামলার শুনানির আগের দিন রাত সোয়া ১টার দিকে বরগুনার নিজ বাড়ির পেছনের ঝোপ থেকে মন্টুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মন্টুর পরিবার দাবি করেন, কিছুদিন আগে তার মেয়ে স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর প্রধান অভিযুক্তকে জেলহাজতে পাঠানোর পর মন্টু ও তার পরিবার হুমকির মুখে ছিলেন। তারা অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরাই মন্টুকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান নিহত মন্টুর স্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেন এবং সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুল ইসলাম নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
হাইকোর্টের আদেশের পর থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসন পুলিশ মোতায়েন করেছে। একজন এএসআইয়ের নেতৃত্বে ৪ জন পুলিশ সদস্যকে পরিবারের বাড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে। এ পুলিশ সদস্যরা দুই শিফটে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কালিবাড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি তপন চন্দ্র দাস বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে মন্টুর বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি আমাদের শঙ্কামুক্ত করেছে। এতে আমরা এলাকাবাসী সন্তুষ্ট।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেন, বিকেল থেকে পরিবারটির নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, উচ্চ আদালত থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এ পরিবারের নিরাপত্তার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে অবহিত করি। উচ্চ আদালত পরিবারটির নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিলে আমরা দুপুরের এক মৌখিক আদেশে ওই বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করেছি।
নাইম/এমবি