Logo

সারাদেশ

উঠান থেকে ১৯ মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে গেল শিয়াল, মিলল মরদেহ

Icon

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১৩:৪১

উঠান থেকে ১৯ মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে গেল শিয়াল, মিলল মরদেহ

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় শিয়ালের কামড়ে ১৯ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের তের হাসিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু মো. আরাফ ওই গ্রামের মো. লিংকনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করার পর আরাফ ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে খেলতে থাকে। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা ব্যস্ত থাকায় এক ফাঁকে উঠান থেকে একটি শিয়াল আরাফকে গলায় কামড় দিয়ে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কেউ সরাসরি দেখেননি।

আরাফের দাদা লালু মিয়া জানান, ইফতার শেষে আরাফ উঠানে খেলছিল। হঠাৎ তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সদস্যরা আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হয়। এ সময় এক ব্যক্তি খাইরুল ইসলাম জঙ্গলের পাশে একটি শিয়ালকে শিশু নিয়ে যেতে দেখেন। তিনি শিয়ালের দিকে এগিয়ে গেলে শিয়াল দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা আরাফের মরদেহ উদ্ধার করেন।

লালু মিয়া আরও বলেন, ‘আরাফের গলায় শিয়ালের কামড়ের দাগ এবং বুকের মাঝখানে পায়ের নখের দাগ দেখা গেছে। আমরা তাকে দ্রুত গ্রামের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

আরাফের বাবা মো. লিংকন বলেন, ‘ইফতার শেষে আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন আমাকে খবর দেয়। আমি দোকান থেকে ছুটে এসে আমার ছেলের মরদেহ দেখতে পাই। এটি আমাদের জন্য একটি বড় শোক।’

এ ঘটনায় স্থানীয়রা হতবাক ও শোকাহত। তারা জানান, এলাকায় শিয়ালের উপদ্রব আগে থেকেই ছিল, তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা এই প্রথম। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।

স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাটি তদন্তের জন্য প্রাথমিক ব্যবস্থা নিয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এলাকায় শিয়ালের উপদ্রব রোধে প্রাণী নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

আব্দুর রউফ ভূইয়া/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর