-67dbdbea0dc5a.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নওগাঁর পোরশা শিশা বাজারসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদকে সামনে রেখে একদিকে যেমন লাচ্ছা সেমাইয়ের চাহিদা বেড়েছে। অপর দিকে এসব সেমাই তৈরির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ভেজাল উপকরণের ব্যবহারের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
সেমাই তৈরি হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ যেমন পচা ডিম, নিম্নমানের পামওয়েল ও ডালডা মিশ্রণে, যা মানব দেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে শতাধিক কারখানায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন করছেন। এসব সেমাই বাজারজাত করা হচ্ছে স্থানীয় শহরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা শহরেও। অবাধ আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ না থাকার পাশাপাশি, শ্রমিকদের শরীরের ঘাম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই সেমাই তৈরির ঘটনা দুঃখজনক।
এই ধরনের ভেজাল সেমাই খেয়ে মানুষ নানা শারীরিক সমস্যা যেমন পেটে পীড়া, ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা এসব সেমাই থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
জেলা স্যানিটারি পরিদর্শক আব্দুল মতিন জানিয়েছেন, পচা ডিম, পশুর চর্বি এবং কৃত্রিম ঘি মিশ্রিত সেমাই তৈরির মতো অনিয়ম রোধ করতে কারখানাগুলোর ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী মো. রুবেল হোসেন বলেন, ‘দ্রুত এসব ভেজাল কারখানায় অভিযান চালানো হবে এবং কোনো প্রকার অনিয়ম দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’