Logo

সারাদেশ

বাম্পার ফলনেও কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাজ

Icon

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১৬:৪১

বাম্পার ফলনেও কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাজ

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হলেও হিমাগারে জায়গার সংকটের কারণে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা। এ বছর আলুর ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি হলেও হিমাগারের ধারণক্ষমতা সীমিত হওয়ায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না। 

জানা গেছে, দিনরাত আলু বোঝাই ট্রাক, লরি এবং ট্রলি হিমাগারের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও আলু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। নদী পথে হাসাইল, দিঘিরপাড় এবং কামারখাড়া ঘাটেও কৃষকরা আলু নিয়ে ট্রলার নিয়ে বসে আছেন। ট্রলার চালকরা জানান, এক ক্ষেপ মাল নিয়ে ঘাটে বসে থাকলে তাদের উপার্জন কমে যাচ্ছে, এবং কষ্টের সাথে সময় কাটাতে হচ্ছে।

ঘাটের শ্রমিকদের অভিযোগ, স্টোর মালিকরা ইচ্ছা করে শ্রমিক কম নিয়েই কৃষকদের ভোগান্তিতে ফেলছেন। 

কৃষকরা জানান, গাড়ি না পাওয়ার কারণে দিনের পর দিন ঘাটে আলু নিয়ে বসে আছেন। এতে গরমে আলু পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্টোর মালিকদের পক্ষ থেকে জানান, স্টোরে জায়গা না থাকায় তারা নতুন মাল নিতে পারছেন না। ট্রলার চালকরা অভিযোগ করেছেন, এক গাড়ি মাল নিয়ে ঘাটে আসলে স্টোর মালিকরা তাদের আলু নিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে তাদের খরচও উঠছে না এবং পুরো দিনটা অপচয়ে চলে যাচ্ছে।

সিদ্ধেশ্বরী কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার ফখরুল জানান, তাদের স্টোরে ১৩ হাজার মেট্রিকটন আলু রাখার জায়গা রয়েছে, তবে ইতোমধ্যে ৯ হাজার মেট্রিকটন আলু রাখা হয়েছে এবং স্টোরটি প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। আশা করা যাচ্ছে, আরো এক বা দুই দিন আলু রাখা সম্ভব হবে। 

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় মোট ২৮টি হিমাগারের মধ্যে ২৬টি সচল রয়েছে। ১৯ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ৭ মেট্রিকটন আলু হিমাগারগুলোতে তোলা হয়েছে।

মো. নাজমুল ইসলাম পিন্টু/এমআই
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর