Logo

সারাদেশ

ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করায় সাংবাদিককে মারধর

Icon

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ২০:২২

ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করায় সাংবাদিককে মারধর

আহত সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম।

ময়মনসিংহে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করায় স্থানীয় সাংবাদিককে প্রেসক্লাবের ভেতরেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। 

গুরুতর আহত সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাথায় আঘাত পাওয়ায় তার ডান কানে ৪০ শতাংশ শ্রবণক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

আহত সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এবং দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি। তিনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া খালপাড় এলাকার বাসিন্দা।  

সাংবাদিক মঞ্জুরুল জানান, তার বাবা মোসলেম উদ্দিন দাঁতের ব্যথা নিয়ে ১২ মার্চ নগরীর শম্ভুগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার ‘অ্যাডভান্সড ডেন্টাল সল্যুশন’  দন্ত চিকিৎসালয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক শিমু আক্তার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই সুস্থ দাঁত ফেলে দেন এবং কিছু ওষুধ লিখে দেন। ওষুধ খেয়েও ব্যথা না কমায় পরে বুঝতে পারেন, ভুল দাঁত ফেলা হয়েছে।  

এরপর, ১৩ মার্চ তাকে শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়ের ‘রীচ হেলথ সেন্টার’ নামে আরেকটি দন্ত চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম পরীক্ষা না করেই মোসলেম উদ্দিনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বসিয়ে দাঁত তুলে দেন। তবুও চার দিন পরও ব্যথা কমেনি।  

এই ঘটনার পর সাংবাদিক মঞ্জুরুল চিকিৎসকদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা উল্টো হুমকি দেন। গত ১৮ মার্চ তিনি কোতোয়ালী মডেল থানায় চিকিৎসক শিমু আক্তার ও আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।  

পরদিন ১৯ মার্চ শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের আমন্ত্রণে ক্লাবের নিচে গেলে চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে প্রেসক্লাব সভাপতির কক্ষে ঢুকলেও সেখানেই চিকিৎসক ও তার অনুসারীরা তাকে মারধর করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।  

এ বিষয়ে জানতে চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম ও শিমু আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  

শম্ভুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দন্ত চিকিৎসক আমিনুল আমার প্রেসক্লাবের সদস্য। আমি মঞ্জুরুলকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলাম। পরে আমার সামনেই আমিনুল ও তার লোকজন তাকে মারধর করেন।’  

এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘মারধরের পর আহত সাংবাদিক নিজেই ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

নাজমুস সাকিব/এমআই

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

চিকিৎসক সাংবাদিক মারপিট

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর