Logo

সারাদেশ

ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশ

মিলনকে হত্যা করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত

Icon

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১৩:৩২

মিলনকে হত্যা করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত

ঠাকুরগাঁওয়ের মিলনকে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ডিবি পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, মিলনকে হত্যা করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা নবিউল ইসলাম রোববার (২৩ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নবিউল ইসলাম জানান, অপহরণের প্রায় ছয় মাস আগে থেকে মিলন ও তার পরিবারকে লক্ষ্য করে নজরদারি চালাচ্ছিল ঘাতক চক্র। মিলনকে অপহরণের পরপরই তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার জন্য আগে থেকেই কসটেপ ও মাফলার কেনা হয়েছিল। লাশ গুম করার জন্য রুট ও বিকল্প রুটও ঠিক করে রেখেছিল তারা।

তিনি আরও জানান, মিলনকে অপহরণের পরপরই মাফলার দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর মোটরসাইকেলের মাঝখানে লাশ বসিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তারা। প্রথমে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্য থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকায় নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মিলনের পরিবারের সাথে ২৫ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়।

ডিবি পুলিশের তদন্তে আরও জানা গেছে, সেজান ও তার সহযোগীরা সাধারণত কলেজপড়ুয়া ছাত্রদের টার্গেট করত। ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের ডেকে এনে অপহরণ ও বলাৎকার করত। এরপর মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দিত। শুরুতে তারা এক-দুই হাজার টাকা আদায় করলেও ধীরে ধীরে লাখ টাকার লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।

মিলন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি সেজান আলী (২৩) ও মুরাদ (২৫) সরাসরি হত্যার সাথে জড়িত। এ ছাড়া ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে সহায়তা করার অভিযোগে রত্না আক্তার রিভা (১৯) এবং অপহরণে সহায়তা করার অভিযোগে মনিরুল (১৭) গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেজানের মা শিউলি বেগমকেও আলামত গুম করার সন্দেহে আটক করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মিলন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

  • আবু সালেহ/এমজে
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর