-67e1666179ccc.jpg)
শান্তিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টায় উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের পিঠাপশী ও ঘোড়াডুম্বুর গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- মৃত আরজক আলীর ছেলে আয়েছ মিয়া, নোয়াব আলীর ছেলে মিজানুর রহমান ছুরুক, আমরাজ মিয়া, কদরিছ আলরি ছেলে জুনেদ আহমদ। ফজর আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ, মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে ছুরত মিয়া, মৃত হিরণ মিয়ার ছেলে ফখরুল ইসলাম, রফিক উদ্দিনের ছেলে সাইকুল ইসলাম, নাহার মামুনের ছেলে খোয়াজ আলী, গয়াছ মিয়ার ছেলে মনসুর উদ্দিন। তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানোর কারণে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের মুরব্বি নূর মিয়া জানান, পিঠাপশী গ্রামের সামনের সড়ক আমরা ব্যবহার করি বলে আমাদের সাথে এই গ্রামের মানুষ সব সময়ই খারাপ আচরণ করে। অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কেনো দ্রুত গাড়ি চালাল এবং সিগন্যাল মানল না এজন্য মোটরসাইকেল দিয়ে দৌড়িয়ে ধরে তাকে মারধর করেছে। খারাই গ্রামের মানুষজন আটকানোর চেষ্টা করেছে। তাদের সাথে মারামারি করেছে। সোমবার তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে বসে। আমাদের অনেক লোক আহত হয়েছেন।
পিঠাপশী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদাল হোসেন বলেন, ‘শনিবার রাতে ঘোড়াডুম্বুর গ্রাম থেকে আমাদের গ্রামের ছেলেদের মোবাইল ফোনে জানানো হয়, একটি গাড়ি খুব দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছে। গাড়িতে মহিলাদের কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। গাড়িটি আটকিয়ে বোঝার জন্য আমাদের ছেলেরা গাড়িটিকে থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। সিগন্যাল না মেনে আরও দ্রুত গাড়ি চালাতে থাকে। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা মোটরসাইকেলে এসে গাড়ি আটকায়। তখন খারাই গ্রামের মানুষও ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাড়ি চালক ফখরুল তার মেয়ে অসুস্থর বিষয়টি কাউকে বুঝিয়ে না বলে, সবার সাথে বাজে আচরণ করে এবং হুমকি-ধামকি দেয়। পরে হট্টগোল বেধে যায়। বিষয়টি বুঝার পর আমরা নিজেরা মিলে শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠাই। এই ঘটনার জেরে আজ তারা আমাদের গ্রামের হেলাল আহমদ নামের একজনকে বেঁধে আটকে রাখা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমাদের অনেকে আহত হয়েছে।’
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের টিম ঘটনাস্থলে আছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা্ নেব৷’
আব্দুল হালিম/এমআই