সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, চলছে চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৩
-67e23959b8a62.jpg)
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন সংলগ্ন শাপলার বিল-তেইশের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার চেষ্টায় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।
বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবীরা এখন পুরো এলাকা তল্লাশি করে দেখছেন, কোথাও নতুন করে ধোঁয়া বা আগুনের চিহ্ন রয়েছে কি না। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে বন বিভাগের ড্রোন উড়িয়ে চূড়ান্ত যাচাই করা হবে। যদি কোথাও আগুনের অস্তিত্ব না পাওয়া যায়, তাহলে দাপ্তরিকভাবে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণের ঘোষণা দেবে বন বিভাগ।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সমা আরিফুল হক জানান, জোয়ার আসার পর রাতভর পানি ছিটানো হয়েছে এবং গভীর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে। এখনো ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগের দল ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ চলছে।
ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা বিপুলেশ্বর রায় বলেন, ‘আগুন নেভাতে রাতভর কাজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জোয়ার আসার পর পুনরায় পাম্প চালিয়ে পানি ছিটানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও নতুন আগুনের সন্ধান মেলেনি, তবে চূড়ান্ত যাচাইয়ের জন্য ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।’
এরআগে, শনিবার (২২ মার্চ) ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী বন টহল ফাঁড়ির টেপার বিলে আগুন লাগে, যা রোববার (২৩ মার্চ) সকালে নেভানো হয়। এরপর বন বিভাগ ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে তেইশের ছিলা-শাপলার বিল এলাকায় নতুন আগুন শনাক্ত করে।
তাৎক্ষণিকভাবে বন বিভাগ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, ভিটিআরটি ও সিপিজি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফায়ার লাইন তৈরি করেন। ভোলা নদী থেকে পাম্প বসিয়ে পানি ছিটানোর চেষ্টা করা হলেও পানির স্বল্পতার কারণে কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। ফলে সোমবার (২৪ মার্চ) রাতেও কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
বন বিভাগ আগুনের সূত্র ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে স্থানীয়দের মতে, শাপলার বিল ও কলমতেজী এলাকার প্রায় ১০ একর বনভূমি পুড়ে গেছে।
শেখ আবু তালেব/এমআই