গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি। সাধারণত ঈদুল ফিতরের আগে এ সময়টাতে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড ভিড় লেগে থাকে, তবে এবার চিত্র ভিন্ন।

মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ১৫-২০ মিনিট পরপর একটি করে বাস চলাচল করছে। ফলে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস, কালিয়াকৈরসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইজ উদ্দিন জানান, যানজট প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও শুক্রবার থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যাত্রীদের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেখানে-সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই এখনও ঢাকায় অবস্থান করছেন। মূলত শুক্রবার থেকে অধিকাংশ কারখানা ছুটি হওয়ায় তখন ঘরমুখী মানুষের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবারের স্বাভাবিক অবস্থা যাত্রীদের স্বস্তি এনে দিয়েছে।

চন্দ্রা এলাকায় কর্মরত হাবুমিয়া নামের এক বাস চালক বলেন, সকালে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম ছিল। বাস চললেও অনেক সিট খালি থাকছে। সাধারণত ঈদের আগে এমন পরিস্থিতি দেখা যায় না। তবে শুক্রবার থেকে চাপ বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) এস এম আশরাফুল আলম বলেন, যাত্রীদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও যানজট এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বর্তমানে গাজীপুরের মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। তবে আগাম প্রস্তুতি না থাকলে শুক্রবার থেকে যাত্রীদের ভিড় সামলানো কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেলোয়ার হোসেন/এমবি