Logo

সারাদেশ

চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়েই বাদীকে হুমকি

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:৫৬

চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়েই বাদীকে হুমকি

রফিকুল ইসলাম শাহীন।

চাঁদাবাজি মামলায় জামিন পেয়েই বাদীকে একাধিক ফোন নাম্বার থেকে ফোন করে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধুনট উপজেলার সাবেক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহীন বিরুদ্ধে।

তাছাড়া থানায় মামলা করায় আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে শরিফুল ইসলাম খোকনকে শাকদহ পয়েন্ট থেকে মাটি-বালু অপসারণ বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি একাধিক নাম্বার থেকে মামলার বাদীকে ফোন করে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

শরিফুল ইসলাম খোকন সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও মেসার্স খোকন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে। 

তিনি ২১ মার্চ বেলকুচি থানায় বাদী হয়ে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলা করেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাঙালি, করতোয়া, ফুলজোড়, হুরাসাগর নদী পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সরকারিভাবে উপজেলার শাহদহ এলাকায় মাটি-বালু উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে দরপত্রের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে নদীর তীর এলাকা থেকে ১৮ লক্ষ ঘনফুট মাটি-বালু অপসারণের কার্যাদেশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শরিফুল ইসলাম খোকন ব্যবসার জন্য জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় ভূমি মালিকদের কাছ থেকে ১৮ লক্ষ ঘনফুট মাটি-বালু ক্রয় করে অপসারণ করতে থাকেন। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লাখ মাটি-বালু অপসারণ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় শরিফুল ইসলাম খোকনের কাছ থেকে বেলকুচি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সাবেক বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রফিকুল ইসলাম শাহীন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

১৬ মার্চ বিকেল ৩টায় রফিকুল ইসলাম শাহীন ও তার লোকজন শাকদহ গ্রামে ওই মাটি-বালু পয়েন্টে যান। সেখানে শরিফুল ইসলাম খোকনের মাটি-বালু পয়েন্টের ম্যানেজার কোয়েল সরকারের কাছ থেকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাটি-বালু বিক্রয়ের ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে শরিফুল ইসলাম খোকন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২৪ মার্চ আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে একাধিক নাম্বার থেকে মামলার বাদীকে ফোন করে হুমকি-ধামকি দিতে থাক এবং ক্ষুব্ধ হয়ে শরিফুল ইসলাম খোকনকে শাকদহ পয়েন্ট থেকে মাটি-বালু অপসারণ বন্ধ করে দিয়েছে।

শরিফুল ইসলাম খোকন জানান, আদালত থেকে জামিন নিয়ে এভাবে হুমকি দিলে আইনের উপর থেকে মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা এর দূত বিচার চাই।

এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ‘জামিনে বের হয়েই বাদীকে হুমকি-ধামকি দিলে বাদীকে আবারো নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।’

জুয়েল হাসান/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর