Logo

সারাদেশ

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়

Icon

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১১:১৪

যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার টোল আদায়

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রী ও গণপরিবহনের চাপ বাড়ছে। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মহাসড়কে কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। ফলে নির্বিঘ্নে ঘরমুখো যাত্রা করছেন উত্তরাঞ্চলের ২৩টি জেলার মানুষ।

শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, যা চলতি বছরের নতুন রেকর্ড। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা।

যমুনা সাইট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল অংশের সেতু পূর্ব প্রান্তের উত্তরবঙ্গগামী লেনে ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। 

সিরাজগঞ্জ অংশের সেতু পশ্চিম প্রান্তে ঢাকাগামী লেন দিয়ে ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।

গত বছরের ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টা থেকে ১৪ জুন (শুক্রবার) রাত ১২টা পর্যন্ত যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে এবং ৫৩ হাজার ৪০৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যমুনা সেতুর এযাবৎ কালে এটি ছিল সর্বোচ্চ টোল আদায় ও যান পারাপার।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, চলতি বছরে সেতুর ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় ও যানবাহন পারাপার হয়েছে। ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা। যা চলতি বছরের নতুন রেকর্ড।

গত বছর ঈদ-উল-ফিতরে যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে ৪৭ হাজার ৭৫৭টি যানবাহন এবং ৯ হাজার ৩৪৮টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছিল। এতে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়।

তিনি আরও বলেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর উভয় প্রান্তে পাশে ফাস্ট ট্র্যাকসহ ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে সেতুর উভয় পাশে ২টি করে মোট ৪টি মোটরসাইকেলের বুথ রয়েছে। ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে প্রতিদিন ১৫-১৮ হাজার যানবাহন সেতুটি দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, এবারে ফোর লেন, ব্রিজ, ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার কারণে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই খুব স্বল্প সময়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।

আব্দুল লতিফ তালুকদার/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর