Logo

সারাদেশ

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ফরিদপুরের ৭ গ্রামে ঈদ উদযাপন

Icon

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১২:০৫

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ফরিদপুরের ৭ গ্রামে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন সাত গ্রামের কিছু মানুষ। 

রোববার (৩০ মার্চ) উপজেলার সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে তারা তিনটি জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ১০টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে জামায়াত শেষ হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা হলে ফরিদপুরের এসব গ্রামের ঈদের জামায়াতের সময় সূচি নির্ধারণ করা হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা ও দু'টি ঈদ উৎসব পালন করে থাকেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে এসব এলাকার লোকজন ঈদ উদযাপন করেন। এ ছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ধলাইরচর গ্রামের কিছু মানুষ একই সাথে ঈদ উদযাপন করেছেন। একদিন আগে যারা রোজা, ঈদুল ফিতর উৎসব ও ঈদুল আযহা উদযাপন করেন তারা সবাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী।

তবে যারা সহস্রাইল দায়রা শরিফে নামাজ পড়তে এসেছেন তাদের সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন মসজিদ কমিটি। সহস্রাইল দায়রা শরিফে নামাজে ইমামতি করেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর দরবার শরিফের পীর সাহেব ও ফরিদপুর কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মুহাদ্দিস মুফতি রাকীবুল হাসান রাকীব।

রোববার সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজ আদায়কারী আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, আমাদের পূর্বপুরষ থেকে আমরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। আমরা যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযাহার নামাজ আদায় করে থাকি। বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমরা, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ পাশ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধলাইরচর গ্রামের কয়েকটি পরিবার একদিন আগে রোজা ও দুইটি ঈদ পালন করে থাকেন। 

সহস্রাইল দায়রা শরিফে নামাজ আদায় করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কার সিদ্দিক জানান, ‘সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আমরা আগে আলফাডাঙ্গার কিছু পরিবার ধলাইরচর মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করতাম। আমাদের ইমাম অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মারা যাওয়ার পর থেকে এখানে আর জামায়াত হয় না। তাই আমরা ধলাইরচর গ্রামের কিছু লোকজন বোয়ালমারীর সহস্রাইল এসে নামাজ আদায় করেছি।’

রাকিব/বিএইচ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর