সৌদি আরবের সাথে বোয়ালমারীর ৮ গ্রামে ঈদ উদযাপন

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬:৪৮
-67e9218e532f9.jpg)
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ৮ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়েছে। এ এলাকার ৮ গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকেন।
রোববার (৩০ মার্চ) বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইলের কাটাগড় সাকেরশাহ্ ও দায়রা শরিফ, শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে তিনটি ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
গত শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দিলে ফরিদপুরের এসব গ্রামের ঈদের জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামে কিছু ধর্মপ্রাণ মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা ও দুটি ঈদ উৎসব পালন করে থাকেন। একদিন আগে যারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করেন তারা সবাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মির্জাখিল পীরের তরিকার অনুসারি। এ অনুযায়ী তারা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী।
যারা সহস্রাইল দায়রা শরিফে নামাজ পড়তে এসেছেন তাদের সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন মসজিদ কমিটি।
শিক্ষক মাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেকেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। এরা অনেকেই মির্জাখিল পীরের অনুসারী। তাই সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রাখেন, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকেন।’
সহস্রাইল দায়রা শরিফে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে বিষয়টি জানিয়ে সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ তারেক আব্দুল্লাহ বলেন, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখেই আমাদের এলাকায় ঈদের নামাজ হয়। নামাজ শেষে খাবার বিতরণ করা হয়।’
এমএম জামান/এমজে