ঈদের দিন টেলিভিশন দেখানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৫০
-67ebc4f8d60de.jpg)
অভিযুক্ত দুলাল ড্রাইভার।
মিরসরাইয়ে টেলিভিশন দেখানোর কথা বলে ৭ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক মালিক দুলাল ড্রাইভারের বিরুদ্ধে। সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকেল সাড়ে ৪টা উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার চিনকির আস্তানা এলাকার শফী সওদাগর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত দুলাল ড্রাইভার পলাতক রয়েছেন। দুলাল ওই বাড়ির মৃত ফকির আহমদের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই শিশুর পরিবার চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। তারা সপরিবারে বিগত ৩০ বছর যাবৎ বারইয়ারহাট পৌরসভায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
শিশুটির চাচা বলেন, ‘আমার বড়ভাই ও তার পরিবারসহ আমরা দুলাল ড্রাইভারের বাড়িতে টিনশেড ঘরে ভাড়া থাকি। ঈদের দিন সোমবার বিকেলে দুলাল ড্রাইভার প্রথমে আমার ভাতিজিকে চকলেট খাওয়ার জন্য ডাকে। তখন সে যায়নি। পরবর্তীতে আমার ভাতিজি যখন টেলিভিশন দেখার জন্য তাদের ঘরে যায়, তখন দুলাল ড্রাইভার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে সে চিৎকার দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে চলে আসে। এ সময় দুলাল ড্রাইভারের ঘরে কেউ ছিল না। রাতে আমার ভাবিকে ভাতিজি সবকিছু বলে। মঙ্গলবার সকালে ভাবিসহ আমরা জোরারগঞ্জ থানায় গেলে সেখান থেকে পুলিশ আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. বাঁধন দাশ বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে ৭ বছরের এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তার পরিবার নিয়ে আসে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’
জোরারগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক মো. ওয়াদুদ বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে ধর্ষণের অভিযোগে এক কন্যা শিশুকে থানায় আনা হয়েছিল। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
সাফায়েত মেহেদী/এমজে