-67f4b54da3b98.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
সিলেটে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কয়েকটি দোকান ও রেস্টুরেন্টে হামলা, ভাঙচুরসহ লুটপাট চালায় একদল দুষ্কৃতকারী। এ ঘটনায় সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশের খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক।
আটকরা হলেন, মো. রাজন, ইমন (১৯), মো. রাকিব (১৯), মো. আব্দূল মোতালেব (৩৫), মিজান আহমদ (৩০), সাব্বির আহমদ (১৯), জুনাইদ আহমদ (১৯), মো. রবিন মিয়া (২০), সৈয়দ আলআমিন তুষার (২৯), মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০), মো. রিয়াদ (২৪), মো. তুহিন (২৪) ও আল নাফিউ (১৯)।
ওসি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, জুতা লুটের পর বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেইজে এসব জুতা বিক্রির বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। অভিযান চালিয়ে এসব জুতাও উদ্ধার করা হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের টানা বর্বর হত্যাযঞ্জের প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একদল দুষ্কৃতকারী সিলেট মহানগরের মিরবক্সটুলায় অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ সময় রেস্টুরেন্টের ভিতরে থাকা বিভিন্ন কোমল পানীয় নষ্ট করা হয়। প্রায় একই সময়ে মহানগরের দরগাহ গেইট এলাকায় জুতার কোম্পানি বাটার শো-রুমে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পারেনি। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রাতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
নির্দেশনায় তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে এ নিয়ে কাজ করছে।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে, প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।’
রেজাউল হক ডালিম/এটিআর