Logo

সারাদেশ

সেতুর অভাবে ভোগান্তি

শুষ্ক মৌসুমে সাঁকো, বর্ষায় খেয়া

Icon

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:১৮

শুষ্ক মৌসুমে সাঁকো, বর্ষায় খেয়া

শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার করছেন চার জেলার মানুষ। ছবিটি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ী ঘাট থেকে তোলা | ছবি : বাংলাদেশের খবর

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার সীমান্তবর্তী আত্রাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চার জেলার লক্ষাধিক মানুষ। শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ও বর্ষায় খেয়া নৌকাই এ অঞ্চলের প্রধান যাতায়াত মাধ্যম।

খানসামার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের জয়গঞ্জ এলাকার পাশ দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই নদীর ওপর প্রায় ৫০০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন স্থানীয় ইজারাদার মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ—কৃষক, শিক্ষার্থী, কর্মজীবী নারী-পুরুষ চলাচল করেন। বর্ষায় নদীতে পানি বাড়লে খেয়া নৌকা-ই একমাত্র ভরসা।

স্থানীয়দের দাবি, যুগের পর যুগ ধরে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। জয়গঞ্জের দিপু বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখি বাঁশের সাঁকো ও নৌকা—এখনও তাই চলছে।

শতগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা সুজন ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে অনেকবার আন্দোলন করেছি, কিন্তু সেতু পাইনি।’

ঝাড়বাড়ী-জয়গঞ্জ খেয়াঘাট সেতু বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শেখ জাকির হোসেন জানান, ‘সেতুটি নির্মাণ হলে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসায় উন্নয়ন ঘটবে।’

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও স্থানীয় এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালসহ জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও ফল মেলেনি। খানসামা উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ একবার স্থানটি পরিদর্শন করলেও প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি হয়নি।

খানসামা উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সেতু নির্মাণের জন্য একটি ডিজাইন তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। তবে এরপর আর কোনো নির্দেশনা আসেনি।’

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর