গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে কলেজপড়ুয়া আরাফাত প্রামাণিকের (২০) প্রেমে পড়ে তার মামি শাপলা বেগম (২২) পালিয়েছেন। শাপলা এক সন্তানের জননী। দীর্ঘদিনের প্রেমের ‘পূর্ণতা’ দিতে নিজের শিশুকন্যাকে নিয়ে ভাগনে আরাফাতের সঙ্গে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।

আরাফাত ধাপেরহাট ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের রেজা প্রামাণিকের ছেলে।

ঘটনাটি সম্পর্কে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহোদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামের খাজা মিয়ার মেয়ে শাপলা খাতুন। তার সঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত সফিয়াজ্জামানের ছেলে হারুন অর রশিদ শাহিনের বিয়ে হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। তাদের সংসারে ৩ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। 

কাজের প্রয়োজনে স্বামী শাহিন বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাগনে আরাফাত প্রামাণিক প্রায়ই মামার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এ সুবাদে ভাগনে-মামির মধ্যে গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রেমের স্বীকৃতি দিতে শাপলা বেগম তার সন্তানসহ আরাফাতের হাত ধরে ঘর ছেড়ে চলে যান। 

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। 

ঘটনার সত্যতা জানিয়ে শাপলা বেগমের স্বামী হারুন অর রশিদ শাহিন বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। এ সুযোগে ঘরে থাকা গচ্ছিত টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও আমার শিশু কন্যাকে নিয়ে শাপলা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

বিষয়ে ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘শাপলা বেগম নামের এক গৃহবধূ তার ভাগনের সঙ্গে অন্যত্র চলে গেছেন—এমন ঘটনা আমি লোকমুখে শুনেছি।’

• আতিকুর রহমান/এমজে