সংস্কারে উদ্যোগ নেই
কচুরিপানায় ভরপুর খাল, পানি চলাচল বন্ধ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৯

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সার্জেন্ট মহি আলম খাল কচুরিপানায় ভরে গেছে। এতে খালটির পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবু সংস্কারে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। খালের দুই পাড়ে রয়েছে ঘনবসতি, গোয়ালঘর, ছোট-বড় বিভিন্ন দোকান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ফলে জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, খাল নিয়ে দীর্ঘদিন প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় একটি অংশে পানি চলাচল বন্ধ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ খালের নিমতল দরগা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) একটি কালভার্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ থাকায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দূষিত হচ্ছে এ খালের পানি। গুরুত্বপূর্ণ এ খালে কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে এখন তা এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক সময় স্থানীয়রা খালটিতে মাছ ধরলেও সেই দৃশ্য এখন হারিয়ে গেছে। সার্জেন্ট মহি আলম খালের পানি দূষিত হয়ে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের যাত্রী ও সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এলাকার কয়েজজন বাসিন্দা জানান, উপজেলার সাজেন্ট মহি আলম খাল মিলিটারি খাল হয়ে ইন্দ্রপুলের খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। খালের পানি দিয়ে এলাকার লোকজন চাষাবাদ করলেও নানা সমস্যার কারণে তা হচ্ছে না। সংস্কারের অভাবে খালটি কচুরিপানায় ভরে গেছে। এর মধ্যে নিমতল দরগাহ এলাকায় বিগত ৭ বছর আগে সওজের একটি কালভার্ট ভেঙে ভরাট হয়ে যায়। এরপর থেকে খালের পানি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। ফুলকলি, মেটকো, শাহ আমানত গ্যাস পাম্প, বিভিন্ন চায়ের দোকান ও বাসা বাড়ির ব্যবহৃত পানি খালে ফেলা হয়। যার কারণে পানি দূষিত হয়ে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
দক্ষিণ হুলাইন গ্রামের গাড়িচালক মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘সাজেন্ট মহি আলম খালের পানি দিয়ে জঙ্গলখাইল ও হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের শতাধিক কৃষক চাষাবাদ করে থাকেন। নিমতলা দরগাহ এলাকায় সওজের একটি কালভার্ট ভেঙে পানি চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। খালের পানি চলাচল বন্ধের কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে পুরো এলাকা ডুবে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সওজের কালভার্টটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
ফুলকলি ফ্যাক্টরির ম্যানেজার জসিম উদ্দিন বলেন, খালের পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় পানি পচে গন্ধ ছড়াচ্ছে। খালের দুই পাড়ে অসংখ্য বাড়ি-ঘর, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত পানি খালে চলাচল করতে না পেরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সরকারিভাবে খালটি সংস্কার করা ও নিমতল দরগাহ এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া কালভার্ট পুনর্নিমার্ণ না করলে ভোগান্তি দূর হবে না।’
এম হেলাল উদ্দিন নিরব/এমজে