চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের গুটি কম, দুশ্চিন্তায় চাষিরা

বদিউজ্জামান রাজাবাবু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:১৫
-6803a20323c6f.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার প্রায় সব আমগাছে মুকুল এসেছিল। চাষিরা আশা করেছিলেন বাম্পার ফলনের। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে মুকুল থেকে গুটি হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম। এতে ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এবার জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে, যা গত বছরের চেয়ে ১০০ হেক্টর কম। সবচেয়ে বেশি আম চাষ হচ্ছে শিবগঞ্জ উপজেলায়—২০ হাজার ১০০ হেক্টর। সবচেয়ে কম ভোলাহাটে—৩ হাজার ৬৩৪ হেক্টর।
এবার প্রতি হেক্টরে ১০ দশমিক ৩ মেট্রিক টন হিসেবে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গুটি ঝরে পড়া এবং খরার কারণে ফলন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
চাষিরা বলছেন, মুকুল আসলেও আবহাওয়ার কারণে অনেক গুটি ঝরে গেছে। সামনের দিনে খরা বাড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
শিবগঞ্জের বাগান মালিক আব্দুল লতিব বলেন, ‘মুকুল দেখে আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু কুয়াশা, খরা আর বৃষ্টির অভাবে গুটি কম এসেছে।’
বরেন্দ্র এলাকার আমচাষি মোরশালিন বলেন, ‘মুকুল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সাতবার কীটনাশক দিতে হয়েছে। আরও কয়েকবার দিতে হবে। খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ।’
চাষি তরিকুল জানান, ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ, কীটনাশকের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। শ্রমিক মজুরিও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী বলেন, ‘যারা সেচ দিয়েছে তাদের বাগানে তেমন সমস্যা হয়নি। তবে খরার কারণে কিছু জায়গায় গুটি ঝরেছে। জেলায় এবার ৭০–৭৫ শতাংশ গাছে আম টিকতে পারে।’
এআরএস