Logo
Logo

সারাদেশ

কেরু চিনিকলের আখ মাড়াই মৌসুম শুরু

Icon

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৮

দেশের বৃহত্তম চিনিকল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় চিনিকলের কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। 

এ সময় এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দর্শনা কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ড. লিপিকা ভদ্র।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল করিম, চুয়াডাঙ্গা জেলা সিনিয়র দায়রা জজ আকবর আলী, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, প্রধান রসায়নবিদ আনিসুল হক, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা  জেলার আহ্বায়ক আসলাম অর্ক, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ প্রমুখ।

উদ্বোধনকালে ড. লিপিকা ভদ্র জানান, প্রতি দুই বছর পরপর আখ চাষীদের জন্য আখের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই বছর সারাদেশে বন্ধ থাকা ৬টি চিনিকল পুনরায় চালু করা হয়েছে। আখ চাষ বৃদ্ধি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে সকল চিনিকল চালু করা হবে। দেশেই চিনি উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে চাই। দেশের চিনি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সিন্ডিকেট ভেঙে মধ্যস্বত্বভোগী কেউ যাতে লাভবান হতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আখ চাষীদের জন্য যা যা করা দরকার, সব করা হবে।

কেরু চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মৌসুমে মোট ৬৫ কার্যদিবসে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। যা থেকে প্রায় ৪২০০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ১৫০ টন আখ মাড়াই করবে চিনিকলটি। এই মৌসুমে আখ থেকে চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এই অঞ্চলের ৬ হাজার একর জমির মাড়াই যোগ্য আখ সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে কেরু চিনিকলের নিজস্ব জমি থেকে ২৭ হাজার মেট্রিক টন আখ পাওয়া যাবে। বাকি ৪৩ হাজার মেট্রিক টন আখ মিলবে সাধারণ কৃষকদের কাছ থেকে।

এর আগে গত ২০২৩-২০২৪ আখ মাড়াই মৌসুমে চিনিকলটি ৫৬ হাজার ৪১৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে। ওই বছর ৫৫ কার্যদিবসে ২ হাজার ৬০৮ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করে। আখের অভাবে নির্ধারিত দিবসের আগেই মাড়াই মৌসুম বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনি উৎপাদন করে আসছে। এই অঞ্চলের একমাত্র বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসাবে জেলাকে আলোকিত করে রেখেছে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। তবে চিনি ছাড়াও এই কারখানা থেকে মদ, ভিনেগার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জৈব সার, চিটাগুড়সহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি চিনি উৎপাদন কারখানা, ডিস্টিলারি, জৈব সার কারখানা ও বাণিজ্যিক খামারের সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ এই শিল্প।

এমবি/এনআর/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর